খবর অনলাইন : ‘চোরাশিকার’ এবং অন্যান্য কারণে গত এক বছরে ১৬টি বাঘ মারা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এর মধ্যে সাতটি পেঞ্চ রিজার্ভ ফরেস্টে।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, সরকার এবং বন দফতর চোরাশিকারের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যুর তকমা দিয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘প্রযত্ন’ নামে ওই সেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য অজয় দুবে জানিয়েছেন, “সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই মধ্যপ্রদেশে বাঘের সংখ্যা কমছে।” তাঁর অভিযোগ, গত আট বছরেও সরকার বিশেষ বাঘ নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করতে পারেনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার চোরাশিকার নেই বলে দাবি করে। তাই তা রুখতে সাম্প্রতিক কালে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অতিরিক্ত মুখ্য বন সংরক্ষক অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করছেন, “সরকার বাঘ নিরাপত্তায় সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিয়েছে। চোরাশিকারিদের হাতে বাঘের মৃত্যুর ঘটনা হাতে গোনার মতো নয়। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে স্বাভাবিক কারণে।”
তিনি বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এবং বিষের কারণে মৃত্যুর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সরকার সে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।” চোরাশিকারের ঘটনা যে ঘটে অতিরিক্ত মুখ্য বন সংরক্ষকের বক্তব্যে তা পরোক্ষে প্রমাণিত। তিনি বিষের কারণে মৃত্যুর কথা বলেছেন। এই বিষ কোথা থেকে আসে, সেটাই তো প্রশ্ন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।