খবর অনলাইন: দেশের বিভিন্ন খরাকবলিত অঞ্চলের জন্য সুখবর শোনাল ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। আসন্ন বর্ষার মরশুমের জন্য আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বার দেশে বর্ষা হবে স্বাভাবিকের থেকে বেশি। রিপোর্টে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যে এ বার বর্ষায় ঘাটতির (স্বাভাবিক বৃষ্টির ৮৯% বা তার কম) সম্ভাবনা মাত্র ১%, স্বাভাবিকের কম বৃষ্টির (স্বাভাবিক বৃষ্টির ৯০% থেকে ৯৬%) সম্ভাবনা ৫%, স্বাভাবিক বৃষ্টির (স্বাভাবিক বৃষ্টির ৯৬% থেকে ১০৪%) সম্ভাবনা ৩০%, স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টির (স্বাভাবিক বৃষ্টির ১০৪% থেকে ১১০%) সম্ভাবনা ৩৪% আর অতিরিক্ত বৃষ্টির (স্বাভাবিক বৃষ্টির ১১০% বা তার বেশি) সম্ভাবনা ৩০%। অর্থাৎ এ বার দেশে স্বাভাবিক বা তার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৪%। গত বছর বর্ষায় যে বাধ সেধেছিল সেই ‘এল নিনো’র প্রভাব কমে যাওয়াতেই ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা এত বেশি বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সামগ্রিক ভাবে বর্ষার পূর্বাভাস জানা গেলেও দেশের কোন অঞ্চলে কত বৃষ্টি হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিদেশি কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের পূর্বাভাসে বলেছে এ বার বরুণ দেব অতিরিক্ত করুণা দেখাতে পারেন খরাকবলিত পশ্চিম ভারতে।
এ দিকে গত চার দিনের মতো আজও তাপপ্রবাহ জারি থাকল কলকাতায়। সেই সঙ্গে সারা দিন বইল গরম হাওয়া, লু। যদিও কালকের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিঞ্চিৎ কমেছে। আজ শহরে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাতেও ছড়ি ঘোরানো জারি রেখেছে রোদ। তবে অনেক জায়গাতেই গতকালের থেকে কমেছে তাপমাত্রা। আগামী শনিবার থেকে তাপমাত্রা একটু কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সাগর থেকে যে জলীয় বাষ্পভরা দখিনা বাতাস বন্ধ ছিল শহরে, শনিবার থেকেই লু-য়ের বদলে বইবে সেই দখিনা হাওয়া। তবে তার প্রভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমলেও, প্যাচপ্যাচে গরম আর অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। কবে কালবৈশাখীর মুখ দেখবে দক্ষিণবঙ্গ, তা এখনও পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।
আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গরমের হিসেব:
আসানসোল – ৪১.৩ (+৩); বাঁকুড়া – ৪৩.২ (+৫); বোলপুর – ৪১.৮ (+৫); বর্ধমান – ৪২ (+৫); মেদিনীপুর – ৪১.৫ (+৫); দিঘা- ৩৫.৫ (+৩); ডায়মন্ড হারবার – ৪১.৯ (+৯)
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।