খবর অনলাইন: চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই সে আংকোরভাট মন্দির কমপ্লেক্সে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরছিল। ইতিমধ্যে সে দু’ কিলোমিটারের বেশি ঘুরে ফেলেছে। কিন্তু মিনিট পঁয়তাল্লিশ ঘোরার পর আর সে পারল না। পড়ে গেল। পড়েই মৃত্যু। ডাক্তারেরা এসে জানালেন, অত্যধিক গরমে প্রচণ্ড স্ট্রেস, তার থেকে উচ্চ রক্তচাপ এবং শেষে হার্ট অ্যাটাক। বয়স হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। এশীয় হাতিদের যা আয়ু, মোটামুটি সেই আয়ুই পেয়েছিল সে। অর্থাৎ বয়সসীমার প্রায় শেষ প্রান্তে এসেও কাজ থেকে তার ছুটি মেলেনি। প্রচণ্ড গরমে তারই মাশুল দিল সে।
এই ঘটনার পরেই এক হাজারের বেশি মানুষ এক আবেদনে সই করে আংকোরভাট মন্দির কমপ্লেক্সে হাতির পিঠে চাপিয়ে পর্যটকদের ঘোরানো নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ট্যুর অপারেটররা বলছেন, তাঁরা তাপমাত্রা যত দিন না কমে তত দিন হাতির কাজের সময় কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পশুপ্রেমীদের দাবি, কাজের সময় কমালে চলবে না, হাতিদের দিয়ে পর্যটক ঘোরানো নিষিদ্ধ করতে হবে। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের চোখের আড়ালে থাকা এই নৃশংসতা পশুদের জীবনের ক্ষেত্রে দুর্দশা ডেকে আনছে। এই হাতিটির মৃত্যুতে আমাদের চোখ খুলে যাওয়া উচিত।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।