খবর অনলাইন: নৌকাডুবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাট। দফায় দফায় বাধল জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতার আগুনে পুড়ে ছাই হল ফেরি পারাপারের ৬টি নৌকা। জনতার ছোড়া ইটে মাথা ফাটল শান্তিপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে চালাতে হল লাঠি। এমনকী শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুড়তে হল।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবারে ভবা পাগলার ভবানী মন্দিরে বাত্সরিক উত্সব হয়। কালনার চেরিঘাটের ওপারে শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাট। এই দুই ঘাটের মাধ্যমেই খেয়া পারাপার করে ভবা পাগলার উত্সবে যোগ দিতে আসেন পূণ্যার্থীরা। শনিবারেও এই উপলক্ষে সকালে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সারা দিন উত্সবে কাটিয়ে সন্ধেবেলায় বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। রাত ৮টা নাগাদ ঝড়ের কারণে খেয়া পারাপার প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বন্ধ রাখা হয়। রাত ১১ নাগাদ ফের খেয়া পারাপার চালু হয়। কালনার চেরিঘাটে একটি নৌকো ভিড়তেই প্রায় দু’শো মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকায় ওঠার জন্য। সাধারণত ওই ভুটভুটি নৌকোগুলোতে ৬০-৭০ জন যাত্রী ধরে। এত সংখ্যক যাত্রী এক সঙ্গে ওঠার চেষ্টা করায় ডুবে যায় নৌকাটি।
রাতে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রবিবার সকাল হতেই ডুবুরি ও উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছয়। দুর্ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও উদ্ধারকাজের জন্য কেন ব্যবস্থা নিল না প্রশাসন তা নিয়ে এ দিন ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। অন্য দিকে, একই অভিযোগে শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে নৌকা ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।