গাছ বাঁচাতে হায়দরাবাদে চিপকো

0

খবর অনলাইন:হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিল মৈত্রী, ক্লাস থ্রি-র ছাত্রী। প্ল্যাকার্ডে লেখা, “বাতাস আর জলের জন্য এবং গরম থেকে বাঁচতে আমাদের গাছ দরকার।” পাশেই ছিল তার বন্ধু তরিশা। শুধু মৈত্রী আর তরিশা নয়, নানা বয়সের শত খানেক মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন হাত হাত ধরে, মানব-শৃঙ্খল তৈরি করে। তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন হায়দরাবাদের কেবিআর জাতীয় পার্কের গাছ বাঁচাতে।

হায়দরাবাদ মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এইচএমডিএ) শহরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য ‘স্ট্র্যাটেজিক রোড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে এক পরিকল্পনা রচনা করেছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী হায়দরাবাদ শহরের ৩১০০টি গাছ কাটা পড়বে। এর মধ্যেই কেবিআর জাতীয় পার্কের ২৭৩টি গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন সেই গাছ বাঁচাতে নেমে পড়েছেন শহরবাসীরা। সঙ্গে রয়েছে হায়দরাবাদের বেশ কিছু সংগঠন।

“এইচএমডিএ ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা চট করে পিছিয়ে আসবে না। আমরা, শহরের দায়িত্বশীল নাগরিকরা এখানে এসেছি কর্তৃপক্ষকে এটাই বোঝাতে যে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার। আমরা উন্নয়নের বিরোধী নই। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ছে। এখন আমাদের জল কিনতে হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে এক দিন আমাদের বাতাস কিনতে হবে” – বলছিলেন উমা চিলকমারি।

আন্দোলনকারীরা এখন ‘কেবিআর কমিউনিটি’ নামে পরিচিত। তাঁরা সকালে-সন্ধ্যায় এখানে আসছেন, সকলকে বোঝাচ্ছেন, গাছ বাঁচানোর জন্য সচেতনতা তৈরি করছেন। এঁদেরই এক জন হর্ষ তানারু জানালেন, তাঁরা চিপকো-র মতো আন্দোলনে নামবেন। যে গাছগুলো কাটার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। শুধু তা-ই নয়, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাঁরা নজরদারি চালাবেন। রবিবার পর্যন্ত রাতেও থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে আর কী করা যায় সে সম্পর্কে রবিবার আবার সবাই বসা হবে বলে জানালেন হর্ষ।


dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন