খবর অনলাইন: বিক্ষিপ্ত গোলমালের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শেষ হল পঞ্চম দফা তথা ষষ্ঠ দিনের ভোট। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই গণ্ডগোলের খবর আসতে শুরু করে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে। বিরোধী এজেন্টদের ‘বাধা’ দেওয়ার খবর আসে হুগলির খানাকুল, হরিপাল, আরামবাগ আর দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, বাসন্তী থেকে। বেহালা পূর্বের নির্দল প্রার্থী অম্বিকেশ মহাপাত্রের এজেন্টের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে তৃণমূল-আরএসপির সংঘর্ষে বেশ কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর আসে বাসন্তী থেকে। বিরোধী এজেন্টকে বুথ থেকে মেরে বার করে দেওয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আর পুলিশের সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। টালিগঞ্জ, তিলজলা, খিদিরপুরে বুথের সামনে বেআইনি জমায়েত সরিয়ে দিয়েছে বাহিনী। বহিরাগতদের আটকাতে কসবা, যাদবপুরে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে বাহিনী আর পুলিশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন জেলায় গড়ে ভোটের হার ৭৮.২৫%। কলকাতায় ভোটের হার ৬৩.১০%, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় হার ৭৯.৬৯% আর হুগলিতে ভোটের হার ৭৮.৯৮%।
আজ ভোটের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বলা যায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারিত হল। এ ছাড়াও তাঁর মন্ত্রিসভার হেভিওয়েটদেরও ভাগ্য নির্ধারণ হল। এঁরা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মনীশ গুপ্ত, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি ও আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও রবীন দেবের আসনেও ভোটগ্রহণ হল।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।