খবর অনলাইন : ভারতীয় রেলের লেটের ট্র্যাডিশন বজায় রাখল গতিমানও। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছল ৯ মিনিট লেটে। কাঁটায় কাঁটায় সকাল ১০টা। হজরত নিজামুদ্দিন থেকে ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ট্রেন গতিমান এক্সপ্রেস। যাত্রার সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। আগরা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছনোর কথা ছিল ১১টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু সে পৌঁছল ৯ মিনিট লেটে। দিল্লি থেকে আগ্রা ক্যান্টনমেন্টের দূরত্ব ১৮৮ কিমি। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে এই দূরত্ব ছোঁয়ার কথা ছিল গতিমানের। গতিমানের সূচনার আগে এই লাইনে সব চেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন ছিল দিল্লি-ভূপাল শতাব্দী এক্সপ্রেস। সে সকাল ৬টায় ছেড়ে আগ্রা পৌঁছয় ৭-৫৭ মিনিটে। অর্থাৎ সময় নেয় ১ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট। অর্থাৎ গতিমানের চেয়ে ১৭ মিনিট বেশি। আজ মঙ্গলবার শতাব্দী আগরা পৌঁছেছে ১০ মিনিট লেটে। অর্থাৎ হরেদরে গতিমানের সঙ্গে শতাব্দীর সময়ের ব্যবধান ১৭-১৮ মিনিটই থাকল। শতাংশের হিসেবে শতাব্দীর তুলনায় গতিমান ১৬-১৭% কম সময় নিল। এই সময়টুকু বাঁচানোর জন্য গতিমানে শতাব্দীর চেয়ে ২৫ শতাংশ ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন বুলেট ট্রেন। কিন্তু ভারতীয় রেলের যে পরিকাঠামো তাতে বুলেট ট্রেন কবে চালানো যাবে তা সময়ই বলতে পারে। এখন দুধের বদলে ঘোল। বুলেটের বদলে সেমি বুলেট, গতিমান, যার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।