খবর অনলাইন: এ বার সিভিক পুলিশ নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য জুড়ে সিভিক পুলিশ নিয়োগে বিরাট কেলেঙ্কারি হয়েছে – “গ্রেট স্ক্যাম। খেয়ালখুশিমতো নিয়োগে জনগণের টাকা অপচয় হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নতুন করে সিভিক পুলিশ নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৯ মে-র মধ্যে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে। কোন পদ্ধতি মেনে সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে তা ওই হলফনামায় সবিস্তার জানাতে হবে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের প্রতিটি থানায় সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে সারা রাজ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা হয়। বাঁকুড়া জেলায় ৫১০০ জন সিভিক পুলিশ হিসেবে নিযুক্ত হন। সিভিক পুলিশ নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করে সারেঙ্গা ও বারিকুল থানা এলাকার ১০ জন প্রার্থী চলতি মাসে হাইকোর্টে দু’টি মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, তাঁর মক্কেলরাও আরও ৫০ জনের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় বসেছিলেন। প্রায় একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁদের নাম নেই।
গত ২২ এপ্রিল শুনানির পর বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিলেন। সেইমতো হলফনামা জমা দেওয়া হয়। হলফনামা পরে বিচারপতি বলেন, অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হলেও নিয়োগের পদ্ধতি সঠিক নয়। খেয়ালখুশিমতো নিয়োগ হয়েছে। এতে জনগণের টাকা অপচয় হয়েছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।