খবর অনলাইন: সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, সব হিসেব-নিকেশ ধূলিসাৎ করে, যাবতীয় বুথ-ফেরত সমীক্ষা নস্যাৎ করে দিয়ে হই হই করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ফিরে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভার ২১১টি আসনই গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। মাত্র ৩২টি আসন পেয়ে তারা একেবারে তলানিতে। আর বামেদের কাঁধে ভর দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। তারাই এ বার বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে। তাদের সংগ্রহ ৪৪টি আসন। বিজেপি’র ফল খুব খারাপ নয়। কেন্দ্রের এই শাসকদল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তাদের আসনসংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ৩ করে নিয়েছেন।
এরই মধ্যে কিছু কিছু আসনে ফলাফল চমক সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের মাঝে পরাজয় ঘটেছে কিছু মন্ত্রীর। সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। যাদবপুর কেন্দ্রে তিনি পরাজিত হয়েছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে। দমদম উত্তর কেন্দ্রে সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যের হার হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। আর যে ছ’ মন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন তাঁরা হলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (ইংরেজবাজার), সাবিত্রী মিত্র (মানিকচক), উপেন বিশ্বাস (বাগদা), শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (বিষ্ণুপুর), শঙ্কর চক্রবর্তী (বালুরঘাট) ও আব্দুল করিম চৌধুরী (ইসলামপুর)। কামারহাটি কেন্দ্রে সিপিএমের মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে হেরেছেন সারদা-কাণ্ডে জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
গত বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র পরাজিত হয়েছেন নারায়ণগড় কেন্দ্রে। এ বারের বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হওয়ার সম্ভাবনা যাঁর সব চেয়ে বেশি সেই মানস ভুঁইয়া যথারীতি জিতেছেন সবং কেন্দ্রে।
সুবিপুল গরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৭ মে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।