খবর অনলাইন: প্রস্তাবিত শ্রম বিলের প্রতিবাদে মে দিবসে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল ফ্রান্স। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন—সব মিলিয়ে শিকাগোর হে মার্কেটের কথাই মনে করিয়ে দিল প্যারিস। প্রায় একই ইস্যুতে এ দিন বিক্ষোভের ফেটে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়াও।
প্রস্তাবিত শ্রম আইন আসলে মন্দার বাজারে শ্রম ছাঁটায়েরই কৌশল। এই বিল ছাঁটায়ের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দেবে বলে আশঙ্কা ফ্রান্সের শ্রমজীবীদের মনে। সরকারের দাবি, তেমন কোনও আশঙ্কার কারণ নেই। ক্রমশ বাড়তে থাকা বেকারত্বকে রুখতে এই বিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
রবিবার মে দিবস উপলক্ষ্যে এই প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বেরোয়। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী সহ এক ডজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
শ্রম বিলটি নিয়ে ফ্রান্সে লাগাতার শ্রমিক-ছাত্রদের বিক্ষোভ চলছে। সরকার ইতিমধ্যে বিলটিকে ঠাণ্ডা ঘরে পাঠিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ কোনও অংশে কমেনি। প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বিক্ষোভকারীদের সর্তকবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন,‘অশান্তি পাকানোর চেষ্টাকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

অন্য দিকে শ্রম আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে একই ভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিলের প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষ সিউল সিটি হলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
রাশিয়াতেও প্রায় এক লক্ষ শ্রমিক মে দিবসের মিছিলে যোগ দিতে মস্কোর রেড স্কোয়ারে জমায়েত হয়।
ইস্তাম্বুলেও তাকসিম স্কোয়ারে মে দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল জমায়েত হয়। জমায়েতকারীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।