খবর অনলাইন: এক দিকে যখন আরএসএস ও বিজেপি হইহই করে বাবাসাহেব অম্বেডকরের ১২৫তম জন্মদিন পালন করছে, ঠিক সেই সময়ে দলিতদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য টেনে বার করে দেওয়া হচ্ছে পিএইচডি ছাত্রকে। দেশ এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বৃহস্পতিবার।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ইতিহাসে এই প্রথম বাবাসাহেবের জন্মদিন পালন করে তাঁকে সামাজিক ঐক্যের অবতার বলে বর্ণনা করা হল। তাঁকে দেওয়া হল পূর্ণ স্বীকৃতি। সমাজের প্রতি অম্বেডকরের অবদানকে সেলাম জানাতে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে স্বয়ংসেবকরা মিছিল করেন। আরএসএস বলেছে, যে সামাজিক ঐক্যের কথা অম্বেডকর বলেছিলেন, দরিদ্র ও শোষিত মানুষদের উন্নতি এবং সব মানুষের সমানতার জন্য অম্বেডকর যে লড়াই চালিয়েছিলেন তা তারা সমর্থন করে। অম্বেডকরের জন্মস্থল মৌ শহরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে এক জনসভায় তিনি বলেন, “আমি গর্ব করে বলতে চাই, যে ছেলেটির মা পরের বাড়িতে বাসন মেজে দিন চালাত, সেই ছেলেটি আজ প্রধানমন্ত্রী হয়েছে শুধু বাবাসাহেব অম্বেডকর আর সংবিধানের জন্য।”
বাবাসাহেবকে নিয়ে আরএসএস–এর এই ‘আত্মশুদ্ধির’ দিনেই হায়দরাবাদের ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাংগুয়েজেস ইউনিভার্সিটি চত্বর থেকে বার করে দেওয়া হল পিএইচডি ছাত্র কুনাল দুগ্গলকে। অপরাধ, অম্বেডকরের ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় দলিতদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বলছিলেন। “আমি আমার বক্তব্য ও গান শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন নিরাপত্তারক্ষী আমাকে জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে নিয়ে যায়। তারা বলে চিফ সিকিউরিটি অফিসারের নির্দেশেই তারা তাঁকে বাইরে বার করে দিচ্ছে। চিফ সিকিউরিটি অফিসার জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে প্রোক্টর প্রকাশ কোনার অনুমতি নিতে হবে।” কোনারের অভিযোগ, কুনাল বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রবেশ ৩০ মার্চ থেকে নিষিদ্ধ। তিনি বলেছেন, “সভায় কুনালের উপস্থিত থাকা নিয়ে আমি ভিসির অনুমতি চেয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে তাঁর প্রবেশ ভিসিই আটকেছেন।”
দিল্লির যুবক কুনালের গবেষণার বিষয় ‘কাস্ট অ্যান্ড রিলিজিয়াস পলিটিক্স ইন কনটেম্পোরারি পঞ্জাব’। হায়দরাবাদ বিশ্বদ্যালয়ে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসাবে কর্মরত কুনাল দলিত আদিবাসী বহুজন মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে জড়িত।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।