আইসিএইচআর-এর অনুষ্ঠানে ‘ভারত মাতা কি জয়’

0

খবর অনলাইন : ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে যতই বিতর্ক চলতে থাকুক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ-এর (আইসিএইচআর) অনুষ্ঠানে সরকারি ভাবেই জায়গা করে নিল এই ধ্বনি। এখানেই শেষ নয়, এর পরে গাওয়া হল ‘বন্দে মাতরম’। মঙ্গলবার আইসিএইচআর-এর এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিলেন ইতিহাসবিদ সতীশচন্দ্র মিত্তল, যিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) অনুগামী বলে সুবিদিত। মিত্তল ৪৮টি বইয়ের লেখক। মার্কিন ভারততত্ত্ববিদ ওয়েন্ডি ডনিগারের ‘হিন্দুস: অ্যান অল্টারনেটিভ হিস্ট্রি’ বইটি নিয়ে যে দু’ জন মামলা করেছেন তাঁদের অন্যতম এই ইতিহাসবিদ। তাঁর বিষয়বস্তু ছিল ‘দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মুভমেন্ট: আ স্টাডি অফ শিফটিং অ্যান্ড চেঞ্জিং ট্রেন্ডস বাই দ্য ব্রিটিশ অ্যান্ড মার্কসিস্ট হিস্টোরিয়ানস (১৯৪৭-২০০০)। মিত্তল এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ ও তথাকথিত মার্ক্সবাদী ইতিহাসবিদদের তুলোধোনা করলেন। বাদ পড়লেন না কেউই –- জেমস মিল থেকে শুরু করে জেমস টড, জেমস গ্র্যান্ট ডাফ, জে ডি কানিংহাম, ভিনসেন্ট স্মিথ, অনিল শীল, ডি এ ওয়াশব্রুক, গর্ডন জনসন প্রমুখ, এমনকী বিপান চন্দ্র, সুমিত সরকার, বরুণ দে পর্যন্ত। কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক মিত্তলের অভিযোগ, এই সব ইতিহাসবিদ গাঁধী, টিলক, সুভাষচন্দ্র, জওহরলালের চরিত্রহনন করেছেন। মিত্তলের বক্তব্য, ভারতের ইতিহাস ভারত-কেন্দ্রিক বিশ্ব-দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিখতে হবে, ইউরোকেন্দ্রিক প্রিজম দিয়ে নয়। তিনি বলেন, যুবকদের জন্য ভারতের ইতিহাস এমন ভাবে লেখা উচিত যাতে ভারতের সনাতনী শাশ্বত রূপটি ফুটে ওঠে। মিত্তল কোনও পালটা তত্ত্ব পেশ করেননি।  শুধু অথর্ব বেদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জাতি বলতে কী বোঝায় তা এর ৬৩টি শ্লোকে বলা আছে।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন