খবর অনলাইন : ভোট বড়ো বালাই। তাই হার্দিক পটেলের পালের হাওয়া কাড়তে সংরক্ষণের পথেই হাঁটল বিজেপি।
আগামী বছর গুজরাতে বিধানসভা ভোট। অতি সম্প্রতি গান্ধীনগরের পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি বিজেপি। এর উপর গত এক বছর ধরে সংরক্ষণের জন্য আন্দোলন করে হার্দিক যে ভাবে গোটা গুজরাতে পটেল সম্প্রদায়কে একজোট করেছেন, তাতে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। তাই শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী পটেলদের সন্তুষ্ট করতে সংরক্ষণেই আশ্রয় নিল বিজেপি। উচ্চবর্ণের যাঁরা আর্থিক দিক থেকে তুলনায় দুর্বল অর্থাৎ যাঁদের বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকার কম, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত। তবে এই ঘোষণা করেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকের পরে এই ঘোষণা করা হয়। পরে টুইটারে এই সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল। গুজরাত সরকার যাতে ১ মে এ ব্যাপারে অর্ডিন্যান্স জারি করে, সেটি সুনিশ্চিত করেছেন অমিত শাহ।
তবে হার্দিকের সংগঠন পটিদার-অনামত আন্দোলন সমিতি এই ১০% সংরক্ষণের ব্যাপারটি খারিজ করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, পটেল সম্প্রদায়কে ভুল পথে চালিত করার জন্য গুজরাত সরকার ও বিজেপি এই ‘ললিপপ’ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সমিতির মুখপাত্র ধার্মিক মালব্য বলেছে, “আমাদের প্রধান দাবি হার্দিকের মুক্তি। তার পরে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঠিক করব।” আরেক মুখপাত্র ব্রিজেশ পটেল বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ওবিসি কোটায় সংরক্ষণ অথবা হরিয়ানা সরকার জাঠদের জন্য যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, সেই সংরক্ষণ।
তবে গুজরাতে সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্ত আইনি ঝামেলায় পড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ওবিসি-এসসি-এসটিদের জন্য যে ৪৯.৫% কোটা আছেম এই ১০% সংরক্ষণ তার অতিরিক্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সরকার কখনওই জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ করতে পারে না।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।