খবর অনলাইন: পাঁচ সপ্তাহ পর মারা গেল শক্তিমান। দেহরাদুনে গত ১৪ মার্চ লাঠি দিয়ে যার পা ভেঙে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মুসরির বিজেপি বিধায়ক গণেশ জোশি। বুধবার একটা ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া হয়েছিল। আর সে জাগেনি। বিকেল সাড়ে ৪টেয় তার মৃত্যু হয়।
এই পাঁচ সপ্তাহে অনেক চেষ্টা হয়েছে শক্তিমানকে সুস্থ করার। দেশের নানা প্রান্ত থেকে চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার দু-এক দিনের মধ্যেই তার বাঁ পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার পর কৃত্রিম পা লাগানো হয়েছে। চার জন চিকিৎসক, বহু সাহায্যকারী কর্মী এবং ২৫ জন পুলিশ দিনভর তার পাশে থেকেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার সুস্থতা কামনা করে বার্তা এসেছে। শক্তিমান খেয়েছে, উঠে দাঁড়িয়েছে, ১৩ এপ্রিল তার আস্তাবল থেকে হেঁটে বেরিয়েওছে। তবু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না। মুম্বইয়ের ডাক্তার ফিরোজ খামবাট্টার নেতৃত্বে বুধবার তার একটা জরুরি অস্ত্রোপচার করার দরকার ছিল। কিন্তু অ্যানাস্থেসিয়ার ঘুম থেকে সে আর জেগে উঠল না। ভেঙে পড়েছেন কাথিওয়াড়ি শক্তিমানের অশ্বারোহী রবিন্দর সিং – “আমি আমার সহকর্মী, আমার বন্ধুকে হারালাম। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি।” কিন্তু সেই বিজেপি বিধায়কের কোনও হেলদোল নেই। ঘোড়াটিকে মারার জন্য আদৌ তিনি অনুতপ্ত নন। বলেছেন, “ঘটনাটিতে অযথা রাজনীতির রং চড়াচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। ভালো চিকিৎসা হলে ঘোড়াটিকে বাঁচানো যেত। এখন সব কিছুতেই বিজেপিকে টার্গেট করা হচ্ছে।” ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ও ৪২৯ ধারায় এবং দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমলস্ আইনে জোশির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।