খবর অনলাইন: অবশেষে স্বস্তির বার্তা। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির ছোঁয়া পাবে দক্ষিণবঙ্গ-সহ তীব্র তাপপ্রবাহ কবলিত দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল, এমনটাই জানাচ্ছে ভারতের বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট। প্রায় দিন পনেরো পর গত কাল বিকেলে দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে শহর কলকাতায়। গত দু’সপ্তাহ ধরে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের আঁচ এই শহরের বুকেও লেগেছিল। জলীয় বাষ্পভরা ঠান্ডা বাতাসের বদলে সারা দিন লু বয়েছিল শহরে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে তীব্র গরমের ফলে ওখানকার হাওয়া গরম হয়ে উপরে উঠে যায়। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছুটে যায় এই জলীয় বাষ্পভরা ঠান্ডা বাতাস। ঠান্ডা ও গরম হাওয়ার সংমিশ্রণে উল্লম্ব মেঘ তৈরি হয়। সেটাই শেষে কালবৈশাখী হয়ে আছড়ে পড়ে। নামায় স্বস্তির বৃষ্টি। গত দু’সপ্তাহ ধরে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই পরিস্থিতিটা তৈরি হচ্ছিল না। তবে কিছু দিন হল আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ফের ঢুকছে জলীয় বাষ্প। তাই বৃষ্টির পরিস্থিতি অনুকূল হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তার করছে দক্ষিণবঙ্গ হয়ে ওড়িশা পর্যন্ত। এর প্রভাবে আজ শুক্রবার বিকেলেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিনে আরও শক্তিশালী হবে এই অক্ষরেখা।
স্কাইমেটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৩ মে নাগাদ বৃষ্টি হবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ডে। এর ফলে তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাবে এ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকেও বিদায় নেবে তাপপ্রবাহ। দেশের বাকি অংশের জন্যও সুখবর শুনিয়েছে তাঁরা। মে মাসের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে তীব্র গরম আর জলকষ্টে কাহিল তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক আর মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, মরাঠাওয়াড়েও বৃষ্টি নামবে। মে মাসের ৬ তারিখ নাগাদ বৃষ্টির ছোঁয়া পাবে গুজরাত, রাজস্থানও।
কলকাতার বৃষ্টির সম্ভাবনার সম্পর্কে অ্যাকুওয়েদার ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, আগামী সোমবার শহরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ, মঙ্গলবার ৯০ শতাংশ, বুধবার ৬০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৬০ শতাংশ। এই সময়ে শহরের তাপমাত্রাও অনেকটাই নেমে ৩৪- ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। ওয়েবসাইটটির মতে, কলকাতার সাথে ঝড়-বৃষ্টি হবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বোলপুর আর আরামবাগেও।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।