খবর অনলাইন : পালমিরা আইএস-মুক্ত। সিরিয়ার মরুভূমিতে অবস্থিত এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রবিবার আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করেছে। এই অভিযানে বাশার-আল-আসাদের বাহিনীকে ব্যাপক ভাবে মদত দিয়েছিল রাশিয়ার বিমানবাহিনী। প্রাচীন সিমিটিক শহর পালমিরার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের গোড়ায়। বহু বার বহু সাম্রাজ্যের হাত ঘুরে পালমিরা প্রথম খ্রিস্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্যের দখলে আসে। প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পালমিরা গত বছরের মে মাসে জঙ্গিদের হাতে চলে যায়। প্রায় বছর খানেকের দখলদারিতে জঙ্গিরা পালমিরার বহু অমূল্য শিল্পকর্ম ধ্বংস করেছে। গুঁড়িয়ে দিয়েছে ‘টেম্পল অব বেল’, ‘আর্চ অব ট্রাইআম্ফ্’ ইত্যাদি। তবে আগোরা, রোমান থিয়েটারের মতো কিছু ধ্বংসাবশেষ আরও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সিরিয়ার পুরাকীর্তি দফতরের প্রধান মামৌন আবদেলকরিম বলেন, “আমরা আরও খারাপ কিছু আশঙ্কা করেছিলাম। সাধারণ ভাবে স্থলদৃশ্য (ল্যান্ডস্কেপ) মোটামুটি ভালোই আছে। বিভিন্ন সৌধের কী ক্ষতি হয়েছে তা যাচাই করতে শীঘ্রই পুরাতত্ত্ববিদদের একটি দল পালমিরা যাবে। যে সব মন্দির ও তোরণ ভেঙে ফেলা হয়েছে তা আবার পুনর্নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। যতই তোমরা আমাদের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করো, আমরা চুপচাপ বসে থাকব না, ধ্বংসের উপর বসে কাঁদব না।” আবদেলকরিমেরই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল বিজয়ী বাহিনীর এক সেনার মুখে – “আমরা যখন ঢুকছিলাম, আশঙ্কায় চোখ বুঁজে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো দেখব সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু না, স্বস্তি পেলাম। দেখলাম অনেক কিছুই রক্ষা পেয়েছে।” পালমিরা দখলের ফলে সিরীয় বাহিনীর কাছে আইএসের ঘাঁটি রক্কা ও দেয়ার আল-জোরের রাস্তা খুলে গেল।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।