খবর অনলাইন: তৃতীয় দফায় রক্তাক্ত হল নির্বাচন। বোমাবাজিতে মারা গেলেন সিপিএম প্রার্থী আনিসুর রহমানের এজেন্ট তাহিদুল মণ্ডল। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
ভোট শুরুর সময় থেকেই অশান্তি শুরু হয় মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তৃণমূল সমর্থকরা ভোটরদের বুথে আসতে বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস ও বাম সর্মথকরা প্রতিবাদ করায় শুরু হয় বোমাবাজি। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন তাহিদুল। আহত অবস্থায় তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। একাধিকবার তাঁকে গুলিও করা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাহিদুল।
সকাল থেকে অশান্তির নানা ঘটনা দিয়ে শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফায় ৬২টি আসনে ভোটপর্ব। আজ কলকাতার চৌরঙ্গী, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা ও কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্র ছাড়াও মুর্শিদাবাদের ২২টি, নদিয়ার ১৭টি ও বর্ধমানের ১৬টি বিধানসভা আসনেও ভোট নেওয়া হয়। বেলেঘাটার বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএম এজেন্টদের মেরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেলগাছিয়ারও বেশ কয়েকটি বুথে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। বর্ধমানের কেতুগ্রাম, নদিয়ার গয়েশপুর এবং মুর্শিদাবাদ থেকেও নানা গোলযোগের অভিযোগ করা হয়েছে। আজ যাঁদের ভাগ্য নির্ধারিত হল তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধন পাণ্ডে, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, স্মিতা বক্সি, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, কংগ্রেসের সোমেন মিত্র, মহম্মদ সোহরাব, আবু হেনা, মনোজ চক্রবর্তী, শঙ্কর সিংহ, সিপিএমের দেবেশ দাস, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ প্রমুখ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।