খবর অনলাইন : আপাতত আশাভঙ্গ হল হরিশ রাওয়াতের। উত্তরাখণ্ডে শুক্রবারের আস্থাভোট স্থগিত করে দিয়ে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন বলবৎ রাখারই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত মোদী সরকারকে যে সাতটি কড়া প্রশ্ন করেছে, তাতে ফের আশায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার যে আর্জি জানিয়েছে সে সম্পর্কে তারা ১৩ মে-র মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে।
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজ করে শুক্রবার আস্থাভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্ট তাদের অন্তর্বর্তী নির্দেশে রাষ্ট্রপতি শাসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। বুধবার ছিল এই মামলার শুনানি। এই শুনানির পর রাষ্ট্রপতি শাসন বলবৎ রাখার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে সাতটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে কেন্দ্রের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা শুনে নিতে চায় শীর্ষ আদালত। সাতটি প্রশ্ন হল –
(১) আস্থাভোটে বিলম্ব কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে যথেষ্ট কারণ?
(২) স্পিকার যদি বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করেন, সেটা কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে জন্য প্রাসঙ্গিক?
(৩) বিধানসভার কার্যসূচি কি কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে?
(৪) রাজ্যপাল কি আস্থাভোটের জন্য এ ভাবে বার্তা পাঠাতে পারেন?
(৫) রাজ্যপাল কি স্পিকারকে ভোট বিভাজনের কথা বলতে পারেন? কারণ উভয়েই সাংবিধানিক পদে আসীন।
(৬) অর্থবিল পাশ না হলে সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু স্পিকার যদি সেটি না বলেন, তা হলে অন্য কারও কি তা বলার অধিকার রয়েছে?
(৭) রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর সেই বিলটির অবস্থা কী?
উত্তরাখণ্ডে হরিশ রাওয়াতের ভাগ্য খুলবে, নাকি বিজেপি-ই শেষ হাসি হাসবে, তা জানতে জানতে প্রায় মে মাসের মাঝামাঝি।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।