‘নোটা’য় ভোটের হার বাড়ছে, পশ্চিমবঙ্গে ১.৫%

0

খবর অনলাইন: চার রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটের ফল প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। কে কোথায় জিতেছে, কোন দল কোথায় ক্ষমতা দখল করেছে, এত ক্ষণে সব জানা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যেটা এখনও জানা যায়নি তা হল ‘নোটা’ কত ভোট পেল। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ক্রমশই জনপ্রিয় হচ্ছে ‘নোটা’।

যাঁদের কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ নয়, তাঁরা যাতে তাঁদের মত জানাতে পারেন তার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এভিএম মেশিনে ‘নোটা’ বোতাম চালু করার নির্দেশ দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী দাঁড় করাতে বাধ্য করা। ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে চালু হয় ‘নোটা’। সে বার সারা দেশে ৫৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোটার ‘নোটা’য় ভোট দেন। শতাংশের হিসেবে ১.১। এ বারের নির্বাচনে এক মাত্র কেরল ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই ‘নোটা’য় পড়া ভোট সেই হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

রাজ্য হিসাবে ‘নোটা’ সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যে ৮,২৯,৯০৩ জন ‘নোটা’য় ভোট দিয়েছেন। শতাংশের হিসাবে এই হার ১.৫। তামিলনাড়ুতে ৫,৫৭,৮৮৮ জন ‘নোটা’য় ভোট দিয়েছেন। শতাংশের হিসেবে ১.৩। কিন্তু চেন্নাইয়ে এই হার আরও বেশি। এই শহরে প্রতি ৫০ জনের ১ জন ‘নোটা’য় ভোট দিয়েছেন। অসমে ‘নোটা’য় ভোট দিয়েছেন ১,৮৫,৮৩৮ জন, শতাংশের হিসেবে ১.১। তবে কেরলে ‘নোটা’য় পড়া ভোটের হার বেশ কম, ০.৫%, মোট ভোটের হিসেবে ১,০৫,৮১৯। কিন্তু ‘নোটা’য় পড়া ভোটের হিসেবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরি। সেখানে ১৩,২৪০ জন ‘নোটা’য় ভোট দিয়েছে, মোট পড়া ভোটের ১.৭%।

সাধারণ অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভোটারকে ‘নোটা’ সম্পর্কে সচেতন করা হয় না নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। করলে হয়তো, ‘নোটা’ আরও অনেক বেশি জনপ্রিয় হত এবং নির্বাচনে একটা নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারত।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন