খবর অনলাইন : রাশিয়া থেকে ভিয়েতনাম, বাঘগণনায় সর্বত্রই বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। এখন সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩৮৯০। প্রাণী সংরক্ষণ গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন দেশের সরকার পরিচালিত বাঘসুমারিতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গণনা হয়েছিল ২০১০ সালে। তখন সংখ্যাটা ছিল ৩২০০। এই খবর দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড এবং গ্লোবাল টাইগার ফোরাম। এই ৩৮৯০টি বাঘের মধ্যে ২২২৬টি বিচরণ করে ভারতে, একেবারে দক্ষিণের কেরল থেকে শুরু করে পূর্বের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ জঙ্গল হয়ে উত্তরের উত্তরাখণ্ডে। দেশওয়ারি বাকি বাঘের হিসাব: বাংলাদেশ ১০৬, ভুটান ১০৩, চিন ৭-এর বেশি, ইন্দোনেশিয়া ৩৭১, লাওস ২, মালয়েশিয়া ২৫০, নেপাল ১৯৮, রাশিয়া ৪৩৩, তাইল্যান্ড ১৮৯, ভিয়েতনাম ৫-এর বেশি নয়। মায়ানমারের হিসাব পাওয়া যায়নি। ২০১০ সালে মায়ানমার সরকার জানিয়েছিল তাদের দেশে বাঘের সংখ্যা ৮৫। কিন্তু সেই সংখ্যা গ্রাহ্য করা হয়নি। কারণ গণনার পদ্ধতি ছিল সেকেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঘসুমারিতে বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির খবরটা আনন্দ করার মতো খবর। কিন্তু বাঘের সংখ্যা প্রকৃতই বেড়েছে এ কথা তাঁরা বলছেন না। হতে পারে সমীক্ষা করার পদ্ধতি আরও উন্নত হয়েছে, আরও বেশি বেশি এলাকা সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। তার ফলে বাঘসুমারিতে বাঘের সংখ্যা বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবুও এই প্রথম বাঘসুমারিতে বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির হিসাব এল। ১৯০০ সালে সারা বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল এক লক্ষের বেশি। তার পর থেকেই বাঘের সংখ্যা কমতে শুরু করে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।