অগ্রিম করের শেষ তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৫। যেসব বেতনভুক কর্মীদের ক্ষেত্রে নিজেদের আয়কর পুরোপুরি উৎসে কাটা (টিডিএস) হয়, তাদের সাধারণত অগ্রিম কর পরিশোধের প্রয়োজন হয় না। তবে যদি টিডিএস-এর পরিমাণ সঠিক না হয়, তাহলে তাঁরা দেরিতে কর দেওয়ার কারণে অতিরিক্ত সুদের (ধারা ২৩৪সি ও ২৩৪বি) মুখে পড়তে পারেন।
যেসব করদাতার মোট করযোগ্য আয় বছরে ১০,০০০ টাকার বেশি, তাঁদের অগ্রিম কর দিতে হয়। যদিও বেতনভুকদের ক্ষেত্রে, যদি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে টিডিএস কেটে নেয়, তাহলে তাঁদের আলাদাভাবে অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হয় না।
অগ্রিম করের শেষ কিস্তি জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ১৫ মার্চ ২০২৫। আয়কর আইন, ১৯৬১ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধের নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মই করদাতাদের মেনে চলতে হয়।
অগ্রিম করের পরিমাণ—
১৫ জুনের মধ্যে: হিসাবকৃত করের ১৫ শতাংশ
১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে: হিসাবকৃত করের ৪৫ শতাংশ
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে: হিসাবকৃত করের ৭৫ শতাংশ
১৫ মার্চের মধ্যে: হিসাবকৃত করের ১০০ শতাংশ
যেসব করদাতা ধারা ৪৪এডি ও ৪৪এডিএ-র অধীনে প্রিজাম্পটিভ কর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তাদের পুরো ১০০ শতাংশ অগ্রিম কর ১৫ মার্চের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
যদি কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অগ্রিম কর পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁকে সুদ মেটাতে হবে।
ধারা ২৩৪বি অনুযায়ী সুদ:
যদি কোনো করদাতা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধ না করেন, বা তার পরিশোধিত কর মোট হিসাবকৃত করের ৯০ শতাংশের কম হয়, তাহলে তাকে প্রতি মাসে ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সুদের হিসাব মূল্যায়ন বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে আয় নির্ধারণ বা চূড়ান্ত মূল্যায়ন হওয়া পর্যন্ত চলবে।