২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। গত বছরের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ প্রকল্প চালুর পর, এ বছর কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও নতুন উদ্যোগ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেছে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)।
সিআইআই-এর মতে, ভারতের জনসংখ্যাগত সুবিধা কাজে লাগাতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বড় পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠনটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বর্তমানের তুলনায় ১৩.৩ কোটি বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে দেশের তরুণ জনসংখ্যাকে উৎপাদনশীল করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।
সরকারকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য সাতটি সুপারিশ করেছে সিআইআই । তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরামর্শগুলি হল: একটি জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি বাস্তবায়ন। শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহ দেওয়া। একটি আন্তর্জাতিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা।
ভারতীয় জনসংখ্যার গড় বয়স এখন ২৯ বছর, যা বিশ্বের সবচেয়ে কম। তাই তরুণ কর্মশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি।
সিআইআই আরও প্রস্তাব করেছে, গ্রামীণ এলাকায় বিশেষত সরকারি দফতরে একটি ইন্টার্নশিপ প্রকল্প চালু করা হোক। এই প্রকল্প কলেজ-শিক্ষিত যুবকদের স্বল্পমেয়াদি চাকরির সুযোগ প্রদান করবে এবং শিক্ষা ও কর্মদক্ষতার মধ্যে ফাঁক পূরণ করবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প কার্যকর করার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ সহায়ক হবে।
আয়ের করনীতির পরিবর্তন করার প্রস্তাবও দিয়েছে সিআইআই। তারা চায়, সেকশন ৮০জেজেএএ বাতিল করে একটি নতুন ধারা চালু করা হোক, যাতে করছাড়ের সুবিধা কম করের ব্যবস্থার অধীনেও পাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি, ভারতের ইনক্রিমেন্টাল ক্যাপিটাল আউটপুট রেশিও (আইসিওআর) উন্নত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই অনুপাত ৪.১। সিআইআই মনে করে, এই অনুপাত কমিয়ে উৎপাদনশীলতার মান নির্ধারণ করা এবং তা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে উন্নত করা জরুরি।
২০২৫ সালের বাজেটে এই সব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।