২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বণিক সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। তাদের মতে, জ্বালানির উপর আবগারি শুল্ক কমানো প্রয়োজন, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। উচ্চ জ্বালানি মূল্যকে মুদ্রাস্ফীতির একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, তারা এই শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে ভোগব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।
সিআইআই আরও প্রস্তাব দিয়েছে যে বছরে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা ব্যক্তিদের জন্য আয়করের হার কমানো উচিত। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ভোগব্যয় বাড়াবে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং রাজস্ব সংগ্রহ উন্নত করবে।
গ্রামীণ অর্থনীতির চাহিদা বাড়াতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাব
সিআইআই বলেছে যে সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে গ্রামীণ চাহিদা পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গেলেও, সরকার যদি ১০০ দিনের কাজ, পিএম-কিসান, এবং পিএমএওয়াই-এর মতো প্রকল্পগুলির সুবিধা বাড়ায়, তবে চাহিদা আরও শক্তিশালী হবে।
সিআইআই-এর প্রধান সুপারিশ:
- এমজিএনআরইজিএস-এর অধীনে দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি: ২০১৭ সালে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, দৈনিক মজুরি ২৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭৫ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। এই জন্য প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় প্রয়োজন হবে।
- পিএম-এর আওতায় সুবিধা বৃদ্ধি: বার্ষিক ৬,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা করা হলে ১০ কোটি উপভোক্তার জন্য প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে।
- পিএমএওয়াই-জি এবং পিএমএওয়াই-ইউ-এর ইউনিট খরচ: এই আবাসন প্রকল্পগুলির ইউনিট খরচ শুরু থেকেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভোগব্যয় বাড়াতে কনজাম্পশন ভাউচারের প্রস্তাব
সিআইআই নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য ভোগব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি নতুন কনজাম্পশন ভাউচারের প্রস্তাব দিয়েছে। এই ভাউচার নির্দিষ্ট পণ্য এবং পরিষেবার জন্য সীমিত সময়ের (৬–৮ মাস) মধ্যে ব্যবহারযোগ্য হবে। জন-ধন অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে এই ভাউচার বিতরণ করা যেতে পারে, যারা অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগী নন।