মঙ্গলবার (৪ মার্চ, ২০২৫) এমসিএক্স বাজারে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ফের ৮৬,০০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা মতো কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে, যা সোনার দামে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এমসিএক্সে এপ্রিল ৪ চুক্তির জন্য প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৮৫,৩৯৯ টাকা খোলা হয় এবং তা বেড়ে ৮৬,২৪৩ ছুঁয়েছে, যা এখনো সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮৬,৫৯২ এর চেয়ে মাত্র ৩৪৯ পয়েন্ট কম। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ, এই চুক্তির মূল্য ৮৬,১০০, যা ০.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির কারণ
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর গতি
সোনা কেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী পদক্ষেপ
ভারতে সোনার দামের বর্তমান প্রবণতা
এই বছর ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দেশীয় স্পট মার্কেটে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৫,৯১৩ টাকা থেকে ৮৪,৮২৮ টাকায় পৌঁছেছে।
বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চিনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ কর কার্যকর করেছে।
চিনের পাল্টা ব্যবস্থা: ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা (১০ মার্চ থেকে) এবং কিছু মার্কিন সংস্থার ওপর নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা।
কানাডার প্রতিক্রিয়া: ২০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা।
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে সোনার চাহিদা বাড়িয়েছে এবং এর ফলে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা বজায় থাকায় সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। মার্কিন-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব, ডলার মূল্যের অস্থিরতা সোনাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমিত হলে বা বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটলে সোনার দামে চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
পাল্টা মতে মতে, যদি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকে, তবে সোনার দাম নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে পারে।