মঙ্গলবার সকালে সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের ফিউচার্স বাজারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে অনিশ্চয়তা, স্পট মার্কেটে চাহিদা বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল ডলারের কারণে এই দাম বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এমসিএক্সে চৌঠা এপ্রিল চুক্তির সোনা ০.১৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি ১০ গ্রামে ৮৭,৪৪৫ টাকায় লেনদেনও করেছে।
বিশ্ববাজারে ট্রাম্পের শুল্কনীতি, ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা সোনার দামের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
তবে, দেশের স্পট মার্কেটে টানা পাঁচ দিন ধরে সোনার দাম কমছে। নতুন কোনও ইতিবাচক কারণের অভাব এবং স্থিতিশীল ডলার সূচকের কারণে দাম প্রায় ১,০০০ টাকা কমেছে। বাজারের অস্থিরতার সময় সোনার দাম সাধারণত বাড়ে, আর ট্রাম্পের শুল্কনীতি এই অনিশ্চয়তা আরও উসকে দিচ্ছে।
সোমবার ট্রাম্প জানান, তিনি ঘোষিত সব শুল্ক ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর করবেন না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, “শীঘ্রই গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে, তবে ২ এপ্রিল থেকে সব শুল্ক কার্যকর হবে না এবং কিছু দেশ ছাড় পেতে পারে”।
মার্কিন ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও সোনার দামের পক্ষে ইতিবাচক। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সুদ কমানোর গতি ও মাত্রা কম হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক মনে করছেন, এই বছর ফেড কেবলমাত্র ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে পারে।
সোনার স্বল্পমেয়াদি মূল্যের চালিকা শক্তি হবে শুক্রবার প্রকাশ হতে যাওয়া ফেডের পছন্দের মূল্যস্ফীতি সূচক, পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারস (PCE) সূচকের তথ্য।
সোনা ও রুপোর জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ৮৭,৫০০ টাকার আশেপাশে সোনা বিক্রি করা যেতে পারে, স্টপ লস ৮৭,৮০০ এবং লক্ষ্যমাত্রা ৮৬,৯৫০ টাকা রাখা যেতে পারে। কারণ এই সপ্তাহে সোনার বাজার অস্থির থাকবে বলেই ধারণা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোনার জন্য সাপোর্ট স্তর ৩,০২২-৩,০০৮ এবং রেজিস্ট্যান্ট স্তর ৩,০৫৫-৩,০৭০ ডলার প্রতি ট্রয় আউন্স। রুপোর সাপোর্ট স্তর ৩৩.১৫-৩২.৮০ ডলার এবং রেজিস্ট্যান্ট স্তর ৩৩.৭৪-৩৪.০০ ডলার প্রতি ট্রয় আউন্স।
এমসিএক্সে সোনার সাপোর্ট স্তর ৮৭,০০০-৮৬,৬৫০ টাকা এবং রেজিস্ট্যান্ট স্তর ৮৭,৫৫০-৮৭,৮০০ টাকা। রুপোর সাপোর্ট স্তর ৯৬,৬৫০-৯৬,১০০ টাকা এবং রেজিস্ট্যান্ট স্তর ৯৮,০০০-৯৮,৮৫০ টাকা।