৮৭এ ধারা অনুযায়ী কর ছাড়ের জন্য যোগ্য করদাতাদের জন্য সুখবর। যাঁরা ৫ জুলাই, ২০২৪-এর পর এই ছাড় দাবি করতে পারছিলেন না, তাঁদের জন্য আইটিআর ফর্ম ২ এবং ৩-এর এক্সেল ইউটিলিটিগুলি আপডেট করেছে আয়কর দফতর। এই আপডেটের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য (২০২৪-২৫ মূল্যায়ন বর্ষ) ৮৭এ ধারা অনুযায়ী কর ছাড় দাবি করা সম্ভব। তবে একটি শর্ত রয়েছে—কর ছাড়ের কলামটি নিজে থেকে সম্পাদনা করতে হবে।
সমস্যা কোথায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফর্মটি আপডেট হলেও এর ভিত্তি হয়ে থাকা জেসন ফরম্যাট এখনও পুরনো, যা ৫ জুলাই, ২০২৪-এ শেষবার আপডেট হয়েছিল। ফলে, বিশেষ হারের আয় (যেমন স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভ বা এসটিসিজি) থাকলে কর ছাড়ের দাবি স্বয়ংক্রিয় ভাবে কার্যকর হবে না। কর ছাড়ের অঙ্ক নিজে থেকে সংশোধন করে ফাইল ভ্যালিডেট করা গেলেও, এই দাবি সিপিসি (সেন্ট্রাল প্রোসেসিং সেন্টার)-তে গৃহীত হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ৮৭এ কর ছাড় সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়েছিল ৫ জুলাই, ২০২৪-এ। সেসময় নতুন সফটওয়্যার চালু হওয়ার পর অনেক যোগ্য করদাতা ছাড় দাবি করতে পারেননি এবং কর নোটিশ পান। এই বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে দেরিতে আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কী ভাবে ৮৭এ ধারায় কর ছাড়ের দাবি করবেন?
১. ম্যানুয়াল সম্পাদনা: এক্সেল ইউটিলিটিতে কর ছাড়ের কলামটি সম্পাদনা করুন। স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভের ক্ষেত্রে এই কলাম নিজে থেকে ছাড় দেখাবে না, তাই নতুন করে লিখে সংশোধন করতে হবে।
২. প্রসেসিংয়ের অনিশ্চয়তা: বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ভ্যালিডেশন সম্ভব হলেও, তবে জেসন ফরম্যাটের কারণে সিপিসি দাবি গ্রহণ করবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
৩. অনলাইন ফর্মে সমস্যা: ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইন ই-ফাইলিং আইটিআর পোর্টাল এখনও ৮৭এ ছাড়ের অনুমতি দিচ্ছে না।
বিচার বিভাগ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত
বম্বে হাইকোর্টের মধ্যস্থতা করদাতাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৫-এ কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা চলছে।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মতে, ৮৭এ ছাড় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষত যাঁদের মিশ্র আয় রয়েছে। করদাতাদের সুবিধার্থে সফটওয়্যার লজিক এবং ফর্মগুলিকে আরও সমন্বিত করা প্রয়োজন।
তাই এই পরিস্থিতিতে করদাতাদের এখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফর্ম সম্পাদনা করে দাবি জমা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আয়কর দফতর দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।