হার্লে-ডেভিডসন মোটরসাইকেল, বারবোন হুইস্কি এবং ক্যালিফোর্নিয়ান ওয়াইনের ওপর শুল্ক হ্রাসের কথা বিবেচনা করছে ভারত সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। উভয় দেশই নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী।
এর আগে হার্লে-ডেভিডসনের আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করেছিল ভারত। এখন শুল্ক আরও কমানোর আলোচনা চলছে, যা এই প্রিমিয়াম বাইকগুলিকে ভারতীয় বাজারে আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে।
একই ভাবে, এর আগে বারবোন হুইস্কির আমদানি শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে নামানো হয়েছিল। এখন এই শুল্ক আরও কমানোর পরিকল্পনা চলছে, যাতে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আরও সহজ হয়। পাশাপাশি, ভারতের বাজারে ক্যালিফোর্নিয়ান ওয়াইনের প্রবেশাধিকারের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু শুধু মোটরসাইকেল ও মদ নয়। মার্কিন ওষুধ ও রাসায়নিক পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল বাজারে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায়, অন্যদিকে ভারত মার্কিন বাজারে নিজেদের রফতানির জন্য ভালো শর্ত চাইছে।
২০২০-২১ সালে ভারত ২,২৬,৭২৮.৩৩ লক্ষ টাকা মূল্যের মার্কিন ওষুধ আমদানি করেছে। ২০২১-২২ সালে আমদানি ৭৮.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪,০৫,৩১৭.৩৫ লক্ষ টাকা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে ২৭.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২,৯৩,৬৪২.৫৭ লক্ষে নেমে আসে। ২০২৩ সালে আবার ১০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৩,২৫,৫০০.১৭ লক্ষ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়, তবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। পাশাপাশি এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও মূল্যায়ন করা দরকার।