ডাকঘরে প্রতারণা বন্ধ করতে ও সেবার মান উন্নত করতে আধার যাচাইকরণ চালু করল ডাক বিভাগ। আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে এই প্রক্রিয়া। এখন থেকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি লেনদেনেও আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হবে।
ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, আধার যাচাইকরণের মাধ্যমে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হবে এবং কাগুজে নথি ব্যবহারের ঝামেলা অনেকটাই কমবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থায় টাকা জমা দিতে কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সীমা রাখা হয়েছে। এক মাসে এইভাবে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা তোলা যাবে। বেশি টাকা তোলার জন্য পুরনো পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে।
প্রথম পর্যায়ে প্রক্রিয়া
ডাকঘরে আধার যাচাইকরণ চালু করার জন্য সফটওয়্যারে আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ই-কেওয়াইসি পদ্ধতিতে গ্রাহকের নাম, অভিভাবকের নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ এবং ঠিকানা—এই পাঁচটি তথ্য সরাসরি UIDAI-এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে। যদি কোনও অসঙ্গতি থাকে, তবে আধার আপডেট করিয়ে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
পাইলট প্রকল্পের সফলতা
গত ২৬ নভেম্বর থেকে একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই প্রক্রিয়া চালু হয়। তা সফল হওয়ায় এবার দেশব্যাপী এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাক বিভাগ কাগুজে নথি ব্যবহারের ঝামেলা কমানো এবং প্রতারণার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। আধার যাচাইকরণ ও বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
ই-কেওয়াইসি চালু হওয়ার ফলে ডাকঘরের গ্রাহক পরিষেবার মান যেমন উন্নত হবে, তেমনই প্রতারণার আশঙ্কাও কার্যত নির্মূল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।