ভারতে এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা। ১৩তম পাসপোর্ট সেবা দিবসে এই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, গত এক দশকে পাসপোর্ট পরিষেবায় যে “বিস্ময়কর রূপান্তর” ঘটেছে, তার জন্য দেশের ও বিদেশের সব পাসপোর্ট আধিকারিকদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Passport Seva Programme (PSP) Version 2.0-এর আওতায় এবার জাতীয় স্তরে ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। নতুন এই সংস্করণে আধুনিক প্রযুক্তি এবং সিস্টেমের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে।
ই-পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য:
একটি ই-পাসপোর্ট হবে কাগজ এবং ইলেকট্রনিক উভয় ধরনের। এতে একটি RFID চিপ এবং অ্যান্টেনা থাকবে, যা পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করবে।
পাসপোর্টের কভারের নিচে ছোট সোনালি চিহ্ন দেখে ই-পাসপোর্ট চেনা যাবে।
- সুবিধা:
- তথ্যের সুরক্ষা অনেক বেশি
- ফেক পাসপোর্ট তৈরি করা কঠিন
- ইমিগ্রেশন অফিসাররা দ্রুত তথ্য যাচাই করতে পারবেন
- চিপের মধ্যে ডিজিটালি সই করা তথ্য থাকবে
খরচ:
বর্তমানে ই-পাসপোর্টের জন্য আলাদা কোনও বাড়তি খরচ হবে না। সাধারণ পাসপোর্টের মতোই ফি ধার্য থাকবে।
পাসপোর্টের ধরন | মেয়াদ | ফি (সাধারণ) | ফি (তত্কাল) |
---|---|---|---|
সাধারণ পাসপোর্ট (৩৬ পৃষ্ঠা) | ১০ বছর | ₹১৫০০ | ₹৩৫০০ |
সাধারণ পাসপোর্ট (৬০ পৃষ্ঠা) | ১০ বছর | ₹২০০০ | ₹৪০০০ |
মাইনর পাসপোর্ট | ৫ বছর | ₹১০০০ | ₹৩০০০ |
ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন পদ্ধতি:
১. Passport Seva অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ যান
২. নতুন ইউজার হলে সাইন আপ করুন, না হলে লগ ইন করুন
৩. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
৪. নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) বা পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (POPSK) বেছে নিন
৫. নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দিন
৬. অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন
৭. নির্ধারিত দিনে গিয়ে বায়োমেট্রিক ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করান
বর্তমানে দেশের কিছু নির্ধারিত শহরে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগপুর, ভুবনেশ্বর, জম্মু, গোয়া, শিমলা, রায়পুর, অমৃতসর, জয়পুর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, সুরত ও রাঁচি। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাসপোর্ট অফিসে এই সুবিধা চালু হবে।
প্রশ্ন: পুরনো পাসপোর্টধারীদের নতুন ই-পাসপোর্ট নিতে বাধ্যতামূলক?
উত্তর: একদম নয়। পুরনো পাসপোর্ট তার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈধ থাকবে।