সপ্তাহের প্রথম দিনেই (১০ মার্চ, ২০২৫) ভারতীয় শেয়ারবাজারে পতন! আগের সপ্তাহের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের পর আজ বাজারে চাপ দেখা যায়, যেখানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও এল অ্যান্ড টি-র মতো বৃহৎ কোম্পানির শেয়ারে মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণে বাজার নিম্নমুখী হয়েছে।
নিফটি ফিফটি সূচক ০.৪১ শতাংশ কমে ২২,৪৬০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে, আর সেনসেক্স ০.২৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৭৪,১১৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ শেয়ারেও বড় পতন হয়েছে, নিফটি মিডক্যাপ ১০০ সূচক ১.৫৩ শতাংশ কমে ৪৮,৪৪০ পয়েন্টে এবং নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ সূচক ১.৯৭ শতাংশ পড়ে ১৫,১৯৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ও দিকে, বিশ্ববাজারেও দুর্বল প্রবণতা দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে চিনের ভোক্তা মূল্যসূচকে (CPI) ১৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে। যা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বল চাকরির তথ্য বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আঘাত হেনেছে। ননফার্ম বেতনের তথ্য প্রত্যাশার চেয়ে কম আসায় বাজারে স্টক বিক্রির চাপ বেড়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত বিনিয়োগ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস ভারতের বাজারের জন্য টার্গেট কাটছাঁট করেছে। তারা আগামী ১২ মাসের জন্য নিফটি টার্গেট ২৫,৫০০ নির্ধারণ করেছে, যা আগের ২৭,০০০ থেকে কম। সংস্থাটি ভারতের বাজারকে ‘মার্কেটওয়েট’ রেটিং দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, নিফটি আজ ২১ ইএমএ (এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং অ্যাভারেজ)-তে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে এবং ২২,৪০০ স্তরের দিকে নেমে এসেছে। পরবর্তী প্রতিরোধের স্তর ২২,৭৫০ পয়েন্ট, যা পার হলে বাজার শক্তিশালী হতে পারে। নিচের দিকে, ৯ দিনের এসএমএ ২২,৩৭০ স্তরে থাকায় এটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের সামগ্রিক মনোভাব দুর্বল থাকলেও ২২,৪০০ স্তর গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে। নিফটি যদি ২২,৮০০-র উপরে যেতে পারে, তাহলে বাজারে পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী গতি আসতে পারে।