শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত রয়েছে! বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে দুর্বলভাবেই। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলা মার্কিন পাল্টা শুল্কের প্রভাব নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
এ দিন এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্স ৭২৮.৬৯ পয়েন্ট কমে ৭৭,২৮৮.৫০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে এনএসই নিফটি ১৮১.৮০ পয়েন্ট কমে ২৩,৪৮৬.৮৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রধান সূচকের এই পতন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মূলধনী শেয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া মার্কিন পাল্টা শুল্কের আগে বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ার বিক্রির চাপে পতনের মাত্রা আরও বেড়েছে।
নিফটি ফিফটি-তে সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক, ট্রেন্ট, হিরো মোটোকর্প, গ্রাসিম ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এনটিপিসি, টেক মাহিন্দ্রা, সিপলা, অ্যাক্সিস ব্যাংক ও বাজাজ ফাইন্যান্স।
বাজারের অস্থিরতার মধ্যেও বিশ্লেষকরা আশা করছেন, শক্তিশালী দেশীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এবং চতুর্থ প্রান্তিকের শক্তিশালী ফলাফল বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে পারে।
এ ছাড়া, আগামী কয়েকটি লেনদেন পর্বে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (এফআইআই) অবস্থানও বাজারের গতিপথ নির্ধারণ করবে। কারণ, এফআইআই বিনিয়োগের প্রবাহ, দেশীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন এবং আকর্ষণীয় মূল্যায়ন বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারের দুর্বলতার কারণেই ভারতীয় শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসে ভোক্তা আস্থার সূচক চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি ও শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ বাড়ছে।
সাম্প্রতিক উত্থানের পর বাজারে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন শুল্ক ঘোষণার আগে, যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর নির্ভরশীল ফার্মা ও আইটি খাতে বিক্রির চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত কমার প্রত্যাশায় তেলের দাম বেড়েছে।