খাদ্য সরবরাহকারী প্রধান দুটি কোম্পানি সুইগি এবং জোমাটো আবারও প্ল্যাটফর্ম ফি বাড়িয়েছে। এখন থেকে, গ্রাহকদের প্রতিটি অর্ডারের জন্য ৬ টাকা দিতে হবে, যা আগে ৫ টাকা ছিল।
এই ফি বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে নেওয়া শুরু হয়েছে এবং এটি ডেলিভারি ফি, পণ্য ও পরিষেবা কর, রেস্তোরাঁ চার্জ, এবং হ্যান্ডলিং চার্জের মতো অন্যান্য খরচের থেকে আলাদা। এটি সকল খাদ্য অর্ডারের উপর আরোপিত হয়, এমনকি গ্রাহক বিভিন্ন লয়্যালটি বা সদস্যপদ প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হলেও। এই ফি সরাসরি কোম্পানির কাছে যায়, যা খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং আয় বাড়াতে সাহায্য করে।
এই বর্ধিত ফি ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য অংশে চালু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রতি অর্ডারে ১ টাকার বৃদ্ধি গ্রাহকদের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই মনে করছে সংস্থাগুলি। তবে জোমাটো প্রতিদিন ২২-২৫ লাখ অর্ডার ডেলিভার করে, যার ফলে এই ফি বৃদ্ধিতে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২৫ লাখ টাকা আয় বাড়াবে। সব মিলিয়ে, খাদ্য সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম ফি আরোপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১.২৫-১.৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় দেখতে পাচ্ছে।
সুইগি প্রথমে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ২ টাকা প্ল্যাটফর্ম ফি চালু করে, যা পরে জোমাটো আগস্ট মাস থেকে চালু করে। তারপর থেকে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ফি বাড়াতে থাকে, যেহেতু গ্রাহকরা কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এটি দিতে ইচ্ছুক। তাই সংস্থাগুলি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও দ্বিধা করেনি।
দিনের ব্যস্ত সময়ে, জোমাটো প্রতিটি অর্ডারে ৯ টাকা প্ল্যাটফর্ম ফি সংগ্রহ করেছে। সুইগি বেঙ্গালুরু, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ এবং অন্যান্য শহরগুলোতে কিছু গ্রাহকদের জন্য ১০ টাকা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ফি আরোপ করেছে।
তবে সুইগির জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্ম ফি বাড়ানো হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।