সম্প্রতি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, এসএমএস ও ই-মেলের মাধ্যমে ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে। অল্প সময়ে বিশাল মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফাঁদে ফেলছে প্রতারকরা। এই প্রতারণার মূল কৌশল হল স্বল্প মূল্যের শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তার দাম বাড়ানো (পাম্প করা), তারপর উচ্চ দামে শেয়ার বিক্রি (ডাম্প করা)। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পরে বড় ক্ষতির মুখে পড়ে।
এই প্রতারণার মূল কৌশল হল স্বল্প মূল্যের শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেওয়া, পরে উচ্চ দামে শেয়ার বিক্রি করা। প্রতারকরা যখন শেয়ার বিক্রি করে দেয়, তখন দাম ধসে পড়ে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ে। এই কৌশল সাধারণত কম লেনদেন হওয়া শেয়ারে বেশি হয়, যেখানে স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তি সহজেই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এই ধরনের প্রতারণা এড়ানোর জন্য কিছু লক্ষণ জানা জরুরি। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবাস্তব মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিলে তা সন্দেহজনক হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পরামর্শ এলে সেই ব্যক্তির সেবি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কি না, তা যাচাই করা দরকার। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিংক বা ফাইল কখনোই খোলা উচিত নয়, কারণ এগুলো ফিশিং আক্রমণ হতে পারে। যদি কেউ দ্রুত বিনিয়োগের জন্য চাপ দেয় বা বলে যে এটি একবারের জন্য পাওয়া সুযোগ, তাহলে সতর্ক থাকা উচিত। অপরিচিত বা খুব কম পরিচিত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের আগে তার তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন।
নিজেকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে সেবি বা আরবিআই রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ যাচাই করা উচিত। নিরাপত্তা সেটিংস আপডেট রাখা এবং দুই স্তরের প্রমাণীকরণ (২এফএ) চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। অপরিচিত নম্বর থেকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বার্তা পেলে তা এড়িয়ে চলা ভালো। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।
সঠিক তথ্য রাখা এবং বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে গবেষণা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেবি ও আরবিআই-এর মতো নির্ভরযোগ্য সংস্থার পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করাই নিরাপদ। এভাবে সচেতন থেকে বিনিয়োগ করলে প্রতারণার ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।