অনুষ্ঠান
অনলাইনে ২৭ দিনব্যাপী শাস্ত্রীয় নৃত্যের অনুষ্ঠান, আয়োজনে অগ্নিবীণা ডান্স অ্যাকাডেমি

স্মিতা দাস
করোনাভাইরাসের অতিমারির কারণে বাতিল হয়েছে বহু অনুষ্ঠান থেকে পার্বণ। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও গিয়েছে বদলে। নিউনর্মালে নতুন করে সব কিছু ভাবতে বাধ্য হচ্ছে মানুষকে। বাধ্য হচ্ছে নতুন অনেক কিছুকেই মেনে নিতে। তা বলে শিল্প কখনও থেমে থাকে না। তাই এখন শিল্পীরাও অনলাইনকে সম্বল করেই যাবতীয় আয়োজন করছেন। তেমনই একটি প্রচেষ্টা আগ্নিবীণা ডান্স অ্যাকাডেমির। প্রায় এক মাস ধরে চলছে তাদের রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রা থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে চলছে নৃত্যানুষ্ঠান তাও অনলাইনে।
বীরভূমের রামপুর হাটের একটি প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণা ডান্স অ্যাকাডেমির। তার কর্ণধার প্রশান্ত (অঞ্চল) পাল। তিনি অনলাইনে এই এক মাস ব্যাপী নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে ১৭ জুন থেকে চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত।

প্রশান্ত বলেন, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ভিউ হয়েছে এই অনুষ্ঠানের। প্রচুর শুভ কামনায় ভরে গিয়েছে পেজ।
প্রশান্ত বলেন, আসলে পরিকল্পনা ছিল ভারতের সমস্ত শাস্ত্রীয় নৃত্যকে এক মঞ্চে তুলে ধরার। তাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীদের মাধ্যমে। কিন্তু তার পরই এই অতিমারির আবহ তৈরি হয়। আর সমস্ত পরিকল্পনাই আটকে যায়। শেষে অনলাইনে অনুষ্ঠানটি এই ভাবে নামানোর কথা মাথায় আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেই মতোই আয়োজন শুরু হয়।
বলেন, ঠিক হয় রথযাত্রায় পরম প্রভু শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের শ্রীচরণকে স্মরণ করেই এই অনুষ্ঠান হবে। তার জন্য অনলাইনে প্রচার করা হয়। শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, তাঁদের নাচের ভিডিও চেয়ে পাঠানো এবং তার এডিটিং শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়, ‘নৃত্যমালিকা’।

দিল্লি, কলকাতা, অসম, হলদিয়া, শান্তিনিকেতন, বহরমপুর, জামসেদপুর, রামপুরহাট, দুর্গাপুর, সিউড়ী ও বারাসাত থেকে প্রায় ৩৫ জন নৃত্যশিল্পী এই অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক সম্মানে সম্মানিত দূরদর্শনের শিল্পী ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিশিষ্ঠ শিল্পী এবং আন্তর্জাতিক সম্মানে সম্মানিত নৃত্যশিল্পীও।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ড: সুমিত বসু, ড: অর্কদেব ভট্টাচার্য, কৃষ্ণেন্দু রায়, শৌভিক চক্রবর্তী, দীপ্তাংশু পাল, সুস্মিতা রায়, শুভ জেনা, শ্রীদীপ কর্মকার, অরিন্দম ব্যানার্জি, সন্দীপ বোস, বিল্টু সরকার, কুশল ভট্টাচার্য, দেবব্রত বড়ুয়া-সহ আরও অনেকেই।
পরিবেশিত হচ্ছে ভরতনাট্যম, কত্থক, মণিপুরী, কথাকলি, কুচিপুড়ি, মোহিনীআট্যম, গৌড়ীয় নৃত্য, ওড়িশি-সহ সকল ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য।
অনুষ্ঠানটি দেখা যাচ্ছে প্রতি দিন বিকেল ৫টা থেকে। আগ্নিবীণা ডান্স অ্যাকাডেমির ফেসবুক পেজে।
আরও পড়ুন – ঘরোয়া আমেজে অনলাইনে রবীন্দ্রসংগীতের পেড প্রোগ্রাম করলেন মনোজ ও মনীষা মুরলী নায়ার
অনুষ্ঠান
যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে ১৮০ জন যোগশিক্ষককে শংসাপত্র দিল হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি
শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যোগের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং আজকের প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য যোগব্যায়াম গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলস কাজ করে চলেছে হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক এবং জেলার দায়িত্বরতদের ১৮০টি শংসাপত্র প্রদান করা হল।
যাঁর মিশন ‘স্বাস্থ্য ভারত, আত্মনির্ভর ভারত’, সেই স্বামী রামদেবের অনুপ্রেরণায় শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক স্বামী প্রবীরদেব এবং বিজয় জয়সওয়াল। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতার রাজ্য সভাপতি এবং অন্য সদস্যরাও।
‘কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক, জেলার দায়িত্বরত এবং যোগশিক্ষকদের হাতে ১৮০টি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালা শান্তিমন্ত্রের আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয়েছিল’, জানান পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক বিজয় জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের মানুষের কাছেই যোগব্যায়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলিতে এটি যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পছন্দের ক্যারিয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা-ও দেখা যাচ্ছে।
বিজয় জয়সওয়াল বলেন, ‘যোগকে সবার জীবনের অংশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পতঞ্জলি যোগ সমিতি ভালো যোগ প্রশিক্ষকদের একটি গোষ্ঠী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
বিজয়বাবু জানান, যোগের বিষয়ে উৎসাহী এমন হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আশা, কোভিড-১৯ এর পরে যোগ ইনস্ট্রাক্টর ও ট্রেনারদের চাহিদা বাড়বে।
অনুষ্ঠান
‘ফ্রন্টলাইন সোলজার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ফ্রন্টলাইন সোলজার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ দেওয়া হল। এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রাণী গাঙ্গুলি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গত ২৯ ডিসেম্বর, আইসিসিআর মঞ্চে।
করোনাভাইরাসের অতিমারিতে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা এবং তাঁদের পুরষ্কৃত করাই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। সমাজের সকল স্তরের যোদ্ধাদেরই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তালিকায় ছিলেন ডাক্তার নার্স পুলিশ এবং সাংবাদিক।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মাধবী মুখোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চ্যাটার্জি, শকুন্তলা বড়ুয়া, লাজবন্তী রায়, সুমনা দাস, আইপিএস সুজয় কুমার চন্দ, এমএলএ দেবাশিস কুমার, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের জাতীয় সভাপতি রবি জয়সওয়াল ও আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে ডাঃ মধুছন্দা কর, ডাঃ অঞ্জুলা ব্যানার্জি, গৌতম ভট্টাচার্য (পুলিশ), কাজল কুমার দলুই (আইএএস পার্কস্ট্রিট)-সহ আরও অনেকেই সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠান
২৫-এ পা বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের, অনুষ্ঠান দেখা যাবে অনলাইনে

স্মিতা দাস
কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সবাই যখন ঘরবন্দি তখন বিভিন্ন উপলক্ষ্যগুলিতে মন খারাপের বোঝা সরিয়ে মনকে প্রশান্তি দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পথে একের পর এক উৎসব পালন করে চলেছে বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন। সেখানে যেমন বাদ যায়নি কবি-বন্দনা তেমনই হয়েছে দেবী-আবাহন। তবে অবশ্যই নিয়মবিধির বেড়াজাল না টপকে এই আয়োজন করেছিল বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন। একই সঙ্গে দেশ ও বিদেশকে মাতিয়ে ছিল তারা তাদের ডিজিট্যাল দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন পার্ফমেন্সের মাধ্যমে। সেই বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের এই বছরই ২৫তম বর্ষ পূর্তি।
সেই বর্ষপূর্তিও উদযাপন করবে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ফেসবুক পেজে। অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছে ‘অবশেষে পঁচিশে’। অনুষ্ঠানটি বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন ও কলকাতা সংকৃতিক অঙ্গনের যৌথ নিবেদন।
অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। প্রচার শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে। প্রতিদিন দেখা যাবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭টায়।
-
শিল্প-বাণিজ্য9 hours ago
ফের বাড়ল পেট্রোল, ডিজেলের দাম, কলকাতায় নতুন রেকর্ড
-
ফুটবল2 days ago
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও চার ফুটবলারের
-
কলকাতা1 day ago
উত্তর কলকাতার অলিতেগলিতে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস, সাধারণতন্ত্র দিবসে হেঁটে দেখা
-
কলকাতা2 days ago
নারকেলডাঙার ছাগলপট্টিতে আগুন, হতাহতের খবর নেই