চিত্রকলা
মন ভালো করা ছবির সন্ধান দিচ্ছে চারুকলা
একটি ছবি অনেক কথাই বলে। কথা বলে সুখ, দুঃখ,হাসি ও কান্নার। বলে জীবনের পাওয়া না পাওয়ার কষ্টের কথা।


কলকাতা: একটি ছবি অনেক কথাই বলে। কথা বলে সুখ, দুঃখ,হাসি ও কান্নার। বলে জীবনের পাওয়া না পাওয়ার কষ্টের কথা। সেই সঙ্গে বলে অনাগত ভবিষ্যতের কথাও। হোক সে কথাগুলো দৃশ্যমান বা কল্পনায় আঁকা। এই রকম মন ভালো করা ছবির সন্ধান মিলবে দক্ষিণ কলকাতার আলতামিরা আর্ট গ্যালারিতে।
আর এই মন ভালো করা ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে চারুকলা নিবেদিত ‘চিত্রকল্প সন্মান’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মল্লার ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী মল্লিকা ঘোষ। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও রূপান্তরকামী আইনজীবী সায়ন্তনী ঘোষ।রাসবিহারী সৃষ্টির নির্দেশক, নাট্যকার শিল্পী ও সম্মানীয় লেখক শ্রী অমিত সরকার, ও আরও অন্যান্যরা।
গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা রাজদীপ দাস বলেন, ‘‘২০১৯ এ আমাদের অর্থাৎ চারুকলার পথ চলা শুরু। এর আগেও আমরা এরকম প্রদর্শনী আয়োজন করেছিলাম এই গ্যালারিতে। তখনও খুব ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। আর আজও আমরা এই স্বল্প পরিসরে শিল্পকর্মের এক মহান কর্মযজ্ঞে নিজেদের সামিল করতে পেরে গর্ব বোধ করছি, তাছাড়া ২০২০ সালের মহামারীকে অতিক্রম করে এক নবসূচনার পথে অগ্রসর হয়েছি এটাই সবথেকে বড়ো বিষয়। যেহেতু করোনা এখনও আমাদের বিশ্বে বিরাজমান তাই আমরা এখানে মাস্ক পড়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছি।’’
গোষ্ঠীর আরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা মধ্যে সুনীত দাস, শ্রীকন্যা ভট্টাচার্য, সৌমিতা সাহা, মৌমিতা মান্ডি, ময়ূখ ভট্টাচার্য, গোষ্ঠীর মেন্টর তথা বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুমন্ত ভৌমিক সহ একাধিক অংশগ্রহণকারী সকলেই খুব খুশি ও অভিভূত চারুকলার অংশ হতে পেরে।
খবর অনলাইনে এই প্রবন্ধটি পড়তে পারেন
আকাশবাণীর স্বর্ণযুগের সঞ্চয়ে বাংলার গৌরব কিনে নিচ্ছে কর্পোরেট?
চিত্রকলা
শেষ হবে করোনা-কাল, নতুন দিশা দেখাবে বিশ্বমাতা, শিল্পীর রং-তুলিতে সেই ভবিষ্যতের ছবি
করোনা পরিস্থিতিতে আজকের সামাজিক চিত্রটা পালটে গেছে। মহামারি বদলে দিয়েছে আমাদের রোজকার জীবন। ঝড়ের মতো এক ভাইরাস জীবনকে বিপর্যস্ত করছে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে আজকের সামাজিক চিত্রটা পালটে গেছে। মহামারি বদলে দিয়েছে আমাদের রোজকার জীবন। ঝড়ের মতো এক ভাইরাস জীবনকে বিপর্যস্ত করছে।
সভ্যতার এত বড়ো বিপর্যয় মানুষ আগে কখনও প্রত্যক্ষ করেনি। অসহায় মানুষ। দীর্ঘ বন্দিজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা তার।
এমন অবস্থায় শিল্পী কী ভাবে নীরবে বসে থাকবেন?
চিত্রশিল্পী ঈশিতা চাকলানবীশ করোনা আবহের মাঝে ক্যানভাসে ধরতে চেয়েছেন দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে শিল্পীর যোগাযোগ।
মহামারি জনিত এই লকডাউনে তাঁর বেশির ভাগ সময়ই কাটছে রং-তুলি হাতে। এই মারাত্মক রোগের ভয়াবহতা শিল্পীর মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই টালমাটাল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পী এখন সৃষ্টিতে মেতে উঠেছেন।
শিল্পী ঈশিতা বলছেন, “বর্তমান সংকটকালে বিশ্বমাতা যেন তার রূপ হারিয়েছে। আজ সে বড় অসহায়। এত মৃত্যু, চোখের জল, প্রিয়জন হারানোর ব্যথায় বিশ্বমাতা কাঁদছে। সকলে যেন বিশ্বমাতার উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলছে যে, এই সংকট মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি করতে পারেনি। বরং সে অজান্তে পারস্পরিক মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।”
এ সংকট শেষ হলে বিশ্বমাতা আবার সকলকে এক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই আশা শিল্পীর। সেই আশাকেই ধরে রাখতে চাইছেন তিনি তাঁর রং-তুলিতে।
চিত্রকলা
নটি বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে ‘অভিবন্দনা’র ‘মা’


‘মা’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ‘অভিবন্দনা’। চিত্র প্রদর্শনীটি চলছে স্টার থিয়েটারের নটি বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে। মঙ্গলবার শেষ দিন। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
চিত্র প্রদর্শনীতে ৫০-এরও বেশি চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবিগুলির পেছনে প্রায় ৫০ জন শিল্পীর অবদান রয়েছে।

চিত্র – ‘মা’
শারদীয়া মাতৃবন্দনার এই বিশেষ মরশুমে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন রূপে নারীর মাতৃশক্তি ও মায়ের বিভিন্ন অনুভূতিকে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে যেমন সাধারণ নারীর বিভিন্ন চেহারা তুলে ধরা হয়েছে তেমনই রয়েছে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপও।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় প্রদর্শনীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী তপন চট্টোপাধ্যায়, চিত্রশিল্পী ও চিত্র সমালোচক দেবব্রত চক্রবর্তী, পর্বতারোহী ও অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত দেবাশিস বিশ্বাস, একদিন ও সালাম দুনিয়া সংবাদপত্রের চিত্র সাংবাদিক অদিতি সাহা।

এই দিনের অনুষ্ঠানে অভিবন্দনার প্রদর্শনী পুস্তিকার উদ্বোধন করা হয়। সঙ্গে প্রকাশ করা হয় অভিবন্দনার প্রতীকও।

অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন শিল্পীকে স্মারক, মানপত্র ও প্রদর্শনী পুস্তিকা দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়।

অভিবন্দনার প্রধান অভিমুন্য দাস জানান, তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাঁরা চিত্র নিয়ে প্রদর্শনী করে আসছেন। এই পর্যন্ত বহু শিল্পীর আঁকা ছবি তাঁরা প্রদর্শনীতে রেখেছেন। তাঁদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগামীতেও এমন প্রচেষ্টা আরও ব্যাপক আকারে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।
চিত্রকলা
পটচিত্র আঁকার কর্মশালা হয়ে গেল খোয়াব গাঁ-এ

স্মিতা দাস
একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে ছবি আঁকা যায় নইলে নয়, এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছি আমরা, তা অনেক দিনই হল। এখন পথও চিত্রকলার ক্যানভাস। সে ক্ষেত্রে অনেকেই বলতে পারেন আলপনা তো মাটিতেই দেওয়া হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে, এ আর নতুন কী? তা ঠিক। তবে একটি গোটা গ্রাম ছবি আঁকার ক্যানভাস! এ তো সহজ কথা নয়। তবে তাই সত্যি। ঝাড়গ্রামের একটি গ্রাম, নাম ‘খোয়াব গাঁ’। সেখানে গোটা গ্রামটাই ছবি আঁকার রং দেওয়ার ক্যানভাস।

যাইহোক, সেই খোয়াব গাঁয়েই ললিত কলা অ্যকাডেমির সঙ্গে চালচিত্র অ্যকাডেমির সহযোগিতায় আরও একটি চিত্র প্রদর্শনী তথা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ছয় জন পটুয়া। তাঁরা হলেন মানু চিত্রকর, স্বর্ণ চিত্রকর, বাহাদুর চিত্রকর, দুখু শ্যাম চিত্রকর, মন্টু চিত্রকর, সানুয়ার চিত্রকর।

উদ্বোধনের দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ললিতকলা অ্যকাডেমির কলকাতা রিজিওন্যাল সেন্টারের সেক্রেটরি বিপিন বিহারী মার্থা। উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক মহুয়া মল্লিক-সহ এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও প্রধান শিক্ষক তাপস খান। বিষয়টিতে আরও উন্নতির আশা প্রকাশ করেন তাঁরা। এই ধরনের কাজে তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। অনুষ্ঠানে দুখু শ্যাম চিত্রকরকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।

পড়ুন – খোয়াবগাঁ, গ্রাম নয়, ক্যানভাস

পাঁচ দিনের এই কর্মশালায় প্রথম চারদিন এই ছ’জন চিত্রকর ছবি এঁকেছেন। এই ছবিগুলিতে প্রাধান্য পেয়েছিল গান্ধীজির দেড়’শ বছর ও বিদ্যাসাগরের ২০০ বছরের বিষয়টি। এ ছাড়াও ছিল দুর্গাপট, মনসামঙ্গলের পট, কৃষ্ণলীলা, ছিল জীব বৈচিত্র বাঘ সংরক্ষণ, সম্প্রীতি নিয়ে পটও।

শেষ দিনটিতে গ্রামের ছোটোদের ছবি আঁকার পাঠ দেওয়া হয়। শেখানো হয় প্রাকৃতিক বা ভেসজ রং তৈরির পদ্ধতি, পট আঁকা, পটের গান।
-
রাজ্য21 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী