উৎপল রায়
গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কলকাতার ঢাকুরিয়ার মধুসূদন মঞ্চে সোনারপুর আবির্ভাব নাট্যগোষ্ঠীর নতুন নাটক “বীজ মন্ত্র” প্রদর্শিত হয়ে গেল। হরিমাধব মুখোপাধ্যায় রচিত এবং তাপস মিস্ত্রি নির্দেশিত এই নাটকটি সর্বোপরি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য দর্শকদের মন জয় করে।
নাটকের দু’ একটি দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে বলতেই হয় শিব ও কালীর প্রেমের দৃশ্য, এবং বাড়ির মালিক রক্ত কমল, তার স্ত্রী রক্ষেমনি এবং বাড়ির চাকর তর’র দৃশ্যে মানুষের হাস্যধ্বনি এবং দৃশ্য শেষে করতালির প্রখর শব্দ জানিয়ে দেয় অভিনয় গুনে দৃশ্যগুলো সত্যিই অসাধারণ! বিশেষ করে কালির উকিল বাবু এবং রক্ষে মনির বৃদ্ধ বাবার চরিত্র অভিনয় গুনে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নেয়। শিব, নন্দী এবং রক্ত কমলের গাঁজা খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় প্রশংসনীয়। ছদ্দবেশী কালীর পরচুল খুলে উকিলকে দিয়ে শ্যাম্পু করতে পাঠানোর দৃশ্য হাসির খোরাক জোগালেও মাকালী সংলাপ বলতে বলতে বারবার মাথায় হাত দিয়ে পটচুলো আলগা করার দৃশ্যে মা কালীর সংলাপ শোনার চাইতে তার বারবার মাথায় হাত দেওয়ার দিকে দর্শকদের নজর ছিল বেশি।

কালী মন্দিরের সামনে মানবরূপী কালীর যৌথনৃত্য তাদের সুন্দর উপস্থাপনার জন্য দর্শকদের প্রশংসিত হলেও নাটকের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়েছে। একক নৃত্য হলে ভালো হতো। কয়েকটি দৃশ্যে সংলাপের আড়ষ্টতা ও অতি অভিনয় ধরা পড়ে। এ নাটকের সবচাইতে বড় ভুল শিবের দুই গালে দাড়ি না থাকা সত্ত্বেও কালী তাঁকে দাড়ি কামানোর আদেশ দেন । শব্দ এবং আলো অতি উন্নত মানের না হলেও রূপসজ্জা অতি সাধারণ। নাটকের শেষ দৃশ্য সুখকর এবং অভিনয়গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় বলা যেতেই পারে, “যার শেষ ভালো তার সব ভালো”।
নাটক:বীজমন্ত্র।
পরিচালনায়:তাপস মিস্ত্রী।
আবহ:রবীন দাস।
আলো:বাবলু চৌধুরী।
মঞ্চ পরিকল্পনা:সৌরভ চক্রবর্তী।
নৃত্য পরিকল্পনা:সোহিনী মিস্ত্রী।
রূপ সজ্জা:গপু মন্ডল।
পোশাক:অনীক বোস
আরও পড়ুন : থামল লড়াই! প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা বিক্রম গোখলে
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।