নাটক
সমন্বয় নাট্য উৎসব ও আবার নীলকণ্ঠ
প্রত্যেক দলই খুব নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সেরাটি উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।


অভিজিৎ চৌধুরী : সম্প্রতি, ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি, সোদপুর দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠের স্বামী বিবেকানন্দ মুক্ত মঞ্চে, সোদপুর রাইজ আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী সমন্বয় নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ কলকাতা, হুগলি, এবং ত্রিপুরা রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন নাট্য দল।
প্রত্যেক দলই খুব নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সেরাটি উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে মন ছুঁয়ে গিয়েছে ‘সোদপুর রাইজ’র আবার নীলকন্ঠ নাটকটি। এই নাটকটিকে কালজয়ী পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের শিল্পসৃষ্টি, তার চাঁচাছোলা দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যও বলা যেতে পারে।
বিখ্যাত কবি, শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘তুমি গেছো। স্পর্ধা গেছে। বিনয় এসেছে!’ তবে সেই স্পর্ধার চোখরাঙানি যে যুগে যুগে বারবার ফিরে আসে আমাদের সামাজিক এবং মানসিক অবক্ষয়ের কথা মনে করিয়ে দিতে, এই নাটকটি সেই বার্তাই বহন করে।
নাট্যকার সুব্রত কাঞ্জিলালের লেখা প্রতিটি সংলাপ মনে বিঁধে যায়, আমাদেরকে দাঁড় করিয়ে দেয়ে অনেক জ্বলন্ত প্রশ্নের মুখোমুখি এবং পরিশেষে যবনিকা পতনের পরও যা বারবার মাথার ভিতরে ঘুরপাক খেতে থাকে!

‘নীলকন্ঠ বাগচী’ র ভূমিকায় পরিচালক বিপ্লব মালাকার নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। শিল্পের সঙ্গে আপোষ না করা, রগরগে অথচ মানবিক পরিচালকের চরিত্রে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছেন।
সহ অভিনেতাদের মধ্যে পল্লব জানা, আঞ্জীত মজুমদার, সুরজিৎ চক্রবর্তী প্রত্যেকে খুব সাবলীলভাবে তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নাটকের টাইটেলিং দেখানোর স্মার্টনেসের এবং শুরুর কোরিওগ্রাফির জন্যে একটা বাড়তি নম্বর অবশ্যই বরাদ্দ করা উচিত বলে মনে হয়।
তবে, আবহ সঙ্গীত নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরেকটু চিন্তাভাবনা করা অবশ্যই বাঞ্ছনীয় কারণ স্ক্রিপ্টের সঙ্গে মানানসই আবহ থাকলে তা আরো সহজে ভিতরটা ফালাফালা করে দিতে সাহায্য করে। আলোক প্রক্ষেপণ মুক্ত মঞ্চ অনুযায়ী ঠিকঠাক।
সর্বোপরি, নাটকটি ভীষণই সুন্দর এবং সোদপুর রাইজের জন্যে অনেক অনেক অভিনন্দন রইল এই দুঃসময়ের মধ্যেও সততাকে, শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার এই আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্যে।
নাটক
করোনাবিধি মেনে যাদবপুরে পথনাটক উৎসব
এ বছর যাদবপুর নাট্যমেলা সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল। তবে এবার এই নাট্যমেলা একটু নতুন আঙ্গিকে আয়োজন করা হয়েছিল।


কলকাতা : প্রতিবছরের মতো এ বছরও যাদবপুর অভিযানের উদ্যোগে বিজয়গড় নিরঞ্জন সদন প্রাঙ্গনে আয়োজিত হয়েছিল যাদবপুর নাট্যমেলা। তবে এ বছরটা অন্যরকম। তাই করোনা বিধি মেনে আয়োজন করা হয় এই মেলার।
এ বছর যাদবপুর নাট্যমেলা সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল। তবে এবার এই নাট্যমেলা একটু নতুন আঙ্গিকে আয়োজন করা হয়েছিল। পথনাটক উৎসবের মাধ্যমেই এই নাট্যমেলা সংগঠিত হয়।
মোট আটটি দল নিয়ে এই পথনাটক উৎসবের প্রথম দিন ১২ ডিসেম্বর ছিল জনগণমন প্রযোজিত নাটক ‘ইঁদুর কল’, অ্যাক্টো প্রযোজিত নাটক ‘বিষের ২১শে’, গড়িয়া সুচর্চা প্রযোজিত নাটক ‘বধ্যভূমিতে সূর্যমুখী’ এবং ইনকিলাব প্রযোজিত নাটক ‘রং রুট’।

১৩ই ডিসেম্বর ছিল নাট্যআনন প্রযোজিত নাটক ‘আমি ও আমরা’, আনকার্টেন প্রযোজিত নাটক ‘পলিটিক্স কোরোনা’, স্পন্দন প্রযোজিত মূকাভিনয় ‘অভিবাসন’ এবং নবকল্লোল প্রযোজিত নাটক ‘ভাইরাস’।
সবরকম করোনাবিধি মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হয় ২দিনের এই পথনাটক উৎসব।
খবর অনলাইনে আরও সংস্কৃতি ও অনুষ্ঠানের খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনার এলাকর কোন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সামাজিক উদ্যোগের খবর আমাদের পাঠাতে পারেন। ই-মেল করুন [email protected] আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারেন।
নাটক
বাঁকুড়ার আকুই গ্রামে অনুষ্ঠিত হল তিনদিনব্যাপী নাট্যোৎসব

ইন্দ্রাণী সেন,বাঁকুড়া: তিনদিনব্যাপী আঠারোতম নাট্যোৎসবের সমাপ্তি হল বাঁকুড়ার ইন্দাসের আকুই গ্রামে। শুরু হয়েছিল শুক্রবার, শেষ হল রবিবার।
শুক্রবার স্থানীয় হাইস্কুল মাঠ-সংলগ্ন প্রয়াত হরিসাধন ঘোষাল ও সুনীতিদেবী স্মৃতিমঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। নাট্যমঞ্চটি উৎসর্গ করা হয়েছিল আকুই সংস্কৃতি সমিতির সদ্যপ্রয়াত সদস্য সুনীল ভট্টাচার্যের নামে। নাট্যোৎসবের প্রথম দিনে তাঁকে স্মরণ করা হয়।

২৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনে মোট পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার পাশাপাশি ব্লক, জেলা ও রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সমিতির কৃতী শিল্পীদের সন্মাননা প্রদান করা হয়। উপস্থিত বিশিষ্ট জনদের সমিতির পক্ষ থেকে স্মারক সন্মাননা প্রদান করা হয়।
সংস্থার সম্পাদক তুহিন দলুই জানান, নাট্যোৎসবের প্রথম দিনে নদিয়ার শান্তিপুর সংস্কৃতির ‘রক্ত উপাখ্যান’, দ্বিতীয় দিনে আকুই সংস্কৃতি সমিতির ‘বারাব্বাস’, উত্তর চব্বিশ পরগনা ইচ্ছাপুর আলেয়ার ‘৬:১’ এবং তৃতীয় তথা শেষ দিনে আকুই সংস্কৃতি সমিতির ‘অমল তিয়াস’ ও বীরভূম আননের ‘মহাজ্ঞানী’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকের পাশাপাশি তিন দিনই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং নাটকবিষয়ক আলোচনাসভাও বসে।
উল্লেখ্য, ইন্দাস এলাকার সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশে দীর্ঘদিন ধরে মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে আকুই সংস্কৃতি সমিতি। রাজ্যে ছাত্র-যুব উৎসবে জেলা স্তরে নাটক প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা সন্মান এদের ঝুলিতে। শ্রেষ্ঠ নির্দেশনা, অভিনেতা ও অভিনেত্রী এবং সেরা শিশুশিল্পীর সম্মান অর্জন করেছেন এই সমিতির সদস্যরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থেকেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নাট্যোৎসব চালিয়ে এসে এই সমিতি রাজ্যে স্তরে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত।
আরও পড়ুন: প্রভাস এবং দীপিকাকে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে রুপালি পর্দায়
সংস্থার সভাপতি রমাপ্রসাদ সেন বলেন, “এই বছর আমরা আমাদের অত্যন্ত প্রিয় বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার সুনীল ভট্টাচার্যকে হারিয়েছি। এক প্রতিকূল পরিবেশে সমিতির সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নাট্যোৎসব সম্পন্ন হল।
নাটক
‘রথের রশি’ ও ‘ভারত এক খোঁজ’ দুটি অঙ্গন নাটক বিচ্ছেদের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয়
বিজ্ঞান আবিষ্কারের ধারা চলতে থাকে – প্রয়োজন ও সত্যের উৎস সন্ধানের মানসিক খিদে থেকে। সেখানে গবেষণার সময় মানুষ থাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মানুষ তার ফলভোগ করে।


ছোটন দত্ত গুপ্ত
বিজ্ঞান আবিষ্কারের ধারা চলতে থাকে – প্রয়োজন ও সত্যের উৎস সন্ধানের মানসিক খিদে থেকে। সেখানে গবেষণার সময় মানুষ থাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মানুষ তার ফলভোগ করে। সেখানে মানুষ আবিষ্কারের মননের চর্চার সাথে একাত্ম হয় না। কিন্তু শিল্পচর্চার মূল ভিত্তি হল সমাজের মানোন্নয়ন, সুস্থ সমাজ ও মানুষের মধ্যে সম্পর্কের শিকড় একাত্ম করে আগামী সুন্দর পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাওয়া।
নাটক তারই শাখা হয়ে, মানুষের কাছে যাবার শক্তিশালী মাধ্যম হয়। মানুষের কাছে কী নিয়ে যাবো? কী ভাবে যাবো? তা ব্যক্তি মানুষ বা দলের ওপর নির্ভর করে।
প্লেটোর ছাত্র অ্যারিস্টটল পছন্দ করতেন অনুকারী(Mimetic)নাটক। নীতিমূলক(Didactic) নাটক আবার প্লেটোর পছন্দ। নীতিমূলক নাটক এসকাইলাসের ‘Euomenides’ পেটের ভাইস – এর ‘Vietnam –Diskurs’ গোটা পৃথিবীর থিয়েটারের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময় জার্মানির হিটলার শাসনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্রেখট আরো বেশি করে দর্শকের সঙ্গে সংযোগের প্রয়োজন অনুভব করলেন। প্রসেনিয়াম মঞ্চ থেকেই নাটক থামিয়ে- দর্শকদের নাট্যভাবনার সঙ্গে যুক্ত হতে বলেছেন। বাস্তববাদী এই নাট্য প্রযোজকদের তাগিদেই তৈরী হল ‘ফোর্থ ওয়াল থিয়েটার’। জনগণকে বাদ দিয়ে থিয়েটার হয় না।
তাই, আজকের ভারতবর্ষে এই সময় খুব জরুরি হয়ে পড়েছে অঙ্গন নাটক, পথ নাটক, অন্তরঙ্গ থিয়েটার, সাইকো নাটক (অভিনেতা সাইকেলে করে কয়লার শ্রমিকের বাড়ি গিয়ে নাটক করে আসেন) । যা মানুষে মানুষে সম্পর্ক তৈরি করবে। যেখানে অভিনেতা ও দর্শকদের মধ্যে দেওয়াল থাকবে না। একাত্ম হয়ে মিলেমিশে একাকার হবে। ‘সাহিত্যিকা’(শান্তিনিকেতন) সংস্থার ‘রথের রশি’ ও ‘ভারত এক খোঁজ’ দুটি অঙ্গন নাটকের বিষয়, আঙ্গিক ও আভিনয়; এই অস্থির সময়ে ভরসা ও সাহস দেয়। বিচ্ছেদের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রথের রশি’ ঘরোয়া পরিবেশে অঙ্গন আঙ্গিকে একক অভিনয় ও পরিচালনা করেন দীপ্র মজুমদার। যা দেখার মতো। রথের রশি নাটকের বিভিন্ন চরিত্র দীপ্র যেভাবে রপ্ত ও প্রয়োগ করেছেন তা শেখার মতো। প্লেটো বলেছেন, অভিনেতা নিজের দেহ ত্যাগ করে অন্যের দেহে প্রবেশ করে। অন্যব্যক্তির ব্যক্তিত্ব লাভ করে। দীপ্র একই নাটকে প্লেটো’র মন্তব্য বাস্তবায়িত করেছে। সত্যি তো মহাকালের রশি কেউ টানছে না। যে বন্ধনে টানবে তা আজ বিভ্রান্ত করে দিচ্ছে আমাদের ব্যবস্থা, এই সময়। মহাকাল তো থমকে।

‘ভারত এক খোঁজ’ নাটক আরো সহজ সরল উপস্থাপনা। বিষয় তো ভীষণ প্রাসঙ্গিক ও জ্বলন্ত । কবি জয়দেব বসুর কবিতা অবলম্বনে এই নাটক। যা বর্তমান ভারতবর্ষের আয়না। যে রাষ্ট্র খেতে দেয় না সে ছলে-বলে-কৌশলে ধর্মের নামে বিভেদ ঘটায়, হত্যা করে নিজের সিংহাসন মজবুত করার জন্য। যৌনপল্লীর বেড়ে ওঠা একজন মানুষ সে জন্মভূমির খোঁজে যায়। যার মধ্যে দিয়ে আমরা বাস্তবকে সামনে দেখতে পাই। কী ভাবে বিভেদের মদতদাতা রাষ্ট্র মানুষে মানুষে হিংসা বাঁধায়। ‘ভারত এক খোঁজ’ নাটকে মূল চরিত্রে সৌমেন সেনগুপ্তকেও আমি প্লেটোর বক্তব্যের বাস্তব রূপ বলব। সৌমেনের গানও বেশ। পাঠকের অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে কিন্তু জানেন তো একটা দল মানসিকভাবে চর্চা করলে প্রত্যেক সদস্যই এই কাজটি করতে পারেন। কমিউন হলেই তা সম্ভব। এরকম বহু অজানা নাটকের দল আছে যাদের মধ্যে এরকম পারফর্মার পাবেন। তাঁদের খুঁজতে হবে। ‘ভারত এক খোঁজ’ নাটকে সৌমেন ছাড়াও আরো চারজন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে অভিনয় করেছেন তারাও কিন্তু সমান দক্ষ।
দুটো প্রযোজনার- বিষয়ক নির্বাচন, মিউজিক, পোশাক, গানের ব্যবহার ও অভিনয়ে পরিমিতি বোধ আছে পরিচালকের। ‘রথের রশি’র মিউজিকে কোথাও খামতি মনে হলেও ‘ভারত এক খোঁজ’ এ ঠিকই আছে। তবে ‘রথের রশি’ নাটকে রাবীন্দ্রিক ফর্মে নৃত্য ব্যবহার, কিছুটা হলেও নাট্য-টোনের বলিষ্ঠতা হারিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বলেই এই নৃত্যফর্ম ব্যবহার করতেই হবে, শিল্পে এরকম বাধ্য-বাধকতা ভাবনায় থাকলে তা মহাকালের রথের চাকার গতি শ্লথ করে।
-
রাজ্য21 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী