
শরীরে শিহরণ লাগতে বাধ্য ক্যামেরাটি দেখে। যদিও স্পর্শ করার অনুমতি নেই, তবু চোখ দিয়েই স্বাদ নিতে হবে সেই ১০০ বছর আগের নির্বাক চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা ক্যামেরাটির। ক্যামেরাটি বিখ্যাত সেই অরোরা ফ্লিমসের। এমন একটি নয়, একাধিক ইতিহাস থরে থরে সাজানো আছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী সংগ্রহশালার ১৪তম প্রদর্শনীতে।
রবিবার বেহালার বড়িশার বড়োবাড়িতে হৈহৈ করে উদ্বোধন হয়ে গেল এই প্রদর্শনীর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, অরোরা ফিল্মসের অঞ্জন বসু, ফ্রান্সের ভাইস কনসাল মোনামি কাটো, ফ্রান্সের জোসেফাইন গ্রোজেনেক, জাদুকর পিসি সরকর জুনিয়ার আর তাঁর স্ত্রী সোনালি সরকার, অভিনেতা নীলাদ্রি লাহিড়ী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রাধারমণ রায়। প্রদর্শনী চলবে চার দিন। সময় সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা।
এ দিন অনুষ্ঠানে মুক্তি পায় সাবর্ণদের ৩০ বছর ধরে চলে আসা হাতে লেখা পত্রিকা ‘সপ্তর্ষি’র।
এ ছাড়া প্রখ্যাত গায়ক সত্য চৌধুরীর বেশ কিছু গানের একটি সিডি-রও উদ্বোধন হয় এই মঞ্চে।

প্রদর্শনীতে রয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের প্রথম শতরানের তারিখের একই নম্বর মেলানো দশ টাকার ১০০টি নোট।
রয়েছে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সহ একাধিক ছবির হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট।
কাঠের কাঠামোর প্রাচীন ক্যামেরা।

কলকাতার প্রথম ইট (১৬০৮ সালের), শিবলিঙ্গের আকারের ইট (১৭১০ সালের)-সহ আরও অনেক কিছুই।
এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই আনন্দ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের জোসেফাইন গ্রোজেনেক।

সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই পরিবারের সঙ্গে কলকাতার ইতিহাস ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। কলকাতার প্রকৃত ইতিহাস জানা যায় এঁদের সংস্পর্শে এলে।
অরোরা ফিল্মসের অঞ্জনবাবু বলেন, এখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ভারতীয় সৈনিকদের বিনোদনের জন্য ছবি হয়েছিল যে ক্যামেরা দিয়ে সেই ক্যামেরা এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এই উদ্যোগ খুবই সুন্দর।
অভিনেতা নীলাদ্রিবাবু বলেন, গোটাটাই ইতিহাস। বাঙালিদের কাছে চলচ্চিত্রের ১০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরার প্রচেষ্টার কোনো তুলনা হয় না।
সাবর্ণ পরিবারের আরও খবর – সাবর্ণ সংগ্রহশালার ১৪তম আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসবে বাংলা সিনেমার একশো বছর
জাদুকর পি সি সরকার বলেন, শিকড় খুঁজতে এখানে আসা। বিদেশি কোনো কিছুর থেকে নিজের সংস্কৃতি ঐতিহ্য অনেক প্রিয়। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। সেই প্রয়াস করছে সাবর্ণ সংগ্রহশালা। এটি খুবই উত্তম।
জাপানের ভাইস কনসাল মনামি কাটো বলেন, দু’ দেশের সম্পর্ক খুবই মধুর। সেটাই প্রকাশ পেয়েছে সাবর্ণ পরিবারের এই প্রদর্শনীতে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।