অনুষ্ঠান
কালীঘাট সতীপীঠের ৪৫০ বছর আগের বস্ত্রখণ্ড প্রদর্শিত হচ্ছে সাবর্ণদের ইতিহাস উৎসবে

স্মিতা দাস
সাবর্ণ সংগ্রহশালায় পঞ্চদশ আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব শুরু হয়ে গেল রবিবার অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদ এই আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব আয়োজন করেছে। স্থান বেহালায় বড়িশা বড়ো বাড়ি। চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা। এই বছরের প্রদর্শনীর থিম কান্ট্রি ফ্রান্স। ফ্রান্স সরকারের সহযোগিতায় এই গ্যালারি সাজানো হয়েছে – জানালেন পরিবার পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায় চৌধুরী।
ফ্রান্সের কলকাতাস্থিত রাষ্ট্রদূত কনসাল জেনারেল ভার্জিনিক অট্রিভাল এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা নীলাদ্রি লাহিড়ী, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে প্রমুখ।

বিভিন্ন স্কুলকলেজ থেকে পড়ুয়ারা আসবে বলে আশা করছেন দেবর্ষি। তিনি বলেন, এই বছরের শো কেস থিম হল কালীঘাটের সাড়ে চারশো বছরের ইতিহাস। তাতে প্রদর্শিত হচ্ছে সতীখণ্ড প্রতিষ্ঠার সময়কার সেই প্রাচীন বস্ত্রটি। সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে আত্মারাম ঠাকুরের ব্যবহৃত জপের মালা, চন্দন কাঠ। সঙ্গে রয়েছে সারদা মায়ের শাড়ি, হাতে বানানো আমসত্ত্ব-সহ আরও অনেক স্মৃতিচিহ্ন। পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে চারশো বছরের ঘটির সংগ্রহ।
সতীখণ্ডের বস্ত্রটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেবর্ষি বলেন, ১৫৭০ সালে পদ্মাবতী দেবী মা কালীর দর্শন পান। দেবী কালী বলেন, তাঁর গর্ভে সন্তান আসছে। সেই সন্তানই হলেন লক্ষ্মীকান্ত। এই লক্ষ্মীকান্তের নামেই হল লক্ষ্মীকান্তপুর। তিনি হলেন কলকাতার প্রথম জায়গিরদার। সঙ্গে মা কালী এ-ও বলেন, শক্তিপীঠের যেখানে পদ্মাবতী দেবী স্নান করছেন সেখানে রয়েছে সতীখণ্ড। তা শুনে আত্মারাম ঠাকুর জলে ঝাঁপ দেন ও একটি প্রস্তরখণ্ড উদ্ধার করেন। মনে করা হয় সেটিই হল সতীর ডান পায়ের তিনটি আঙুল। সেই খণ্ডটি প্রতিষ্ঠা করা হয় স্নানযাত্রার দিন। যে বস্ত্রে জড়িয়ে প্রথম এই দিন ওই প্রস্তরখণ্ডটি আনা হয় সেই বস্ত্রখণ্ডটিই এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে বলে জানান দেবর্ষি।

এ দিনের অনুষ্ঠানে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে। ইতিহাস ছাড়া সেই মেরুদণ্ড শক্ত হতে পারে না। আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি – এমন বহু প্রশ্ন উঠে আসছে। সেই উত্তর জানতে হলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস জানতে হবে। তাই ইতিহাসচর্চা আরও বেশি করে করা দরকার।”
বিশ্বরূপ দে-ও একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সাবর্ণ সংগ্রহশালা যে কাজটা করছে সে রকম ক্রিকেটের ময়দানেও যদি এমন একটি সংগ্রহশালা করা যেত তা হলে খুবই ভালো হত। ইতিহাস সংরক্ষণ করতে আমরা ভুলে যাচ্ছি। ইতিহাস না বাঁচলে কিছুই বাঁচবে না।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, কলকাতার সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক বহু বছরের। তিনি খুবই খুশি। বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভারত-ফ্রান্সের সম্পর্কের অজানা বহু তথ্য তুলে ধরা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য ৪ ফেব্রুয়ারি রয়েছে প্রণব রায় দিবস। এই দিন বৈশাখী রায় চৌধুরী স্কলারশিপ দেওয়া হবে ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের এক পড়ুয়াকে। প্রণব রায় দিবসের অনুষ্ঠানে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সঙ্গে থাকবে কলকাতার ইতিহাসকে কেন্দ্র করে রচিত একটি শ্রুতিনাটকও। সঙ্গে উপরি পাওনা হল তরুণ গোস্বামীর শিসধ্বনিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় শ্যামল মিত্র মান্না দের গানের উপস্থাপনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছর শুরু হল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শতবর্ষ, মান্না দের শতবর্ষ চলছে।
দেখুন –চোখের মেকআপ বার বার ঘেঁটে যায়? তা ধরে রাখতে ৫টি টিপস
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
অনুষ্ঠান
যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে ১৮০ জন যোগশিক্ষককে শংসাপত্র দিল হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি
শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যোগের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং আজকের প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য যোগব্যায়াম গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলস কাজ করে চলেছে হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক এবং জেলার দায়িত্বরতদের ১৮০টি শংসাপত্র প্রদান করা হল।
যাঁর মিশন ‘স্বাস্থ্য ভারত, আত্মনির্ভর ভারত’, সেই স্বামী রামদেবের অনুপ্রেরণায় শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক স্বামী প্রবীরদেব এবং বিজয় জয়সওয়াল। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতার রাজ্য সভাপতি এবং অন্য সদস্যরাও।
‘কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক, জেলার দায়িত্বরত এবং যোগশিক্ষকদের হাতে ১৮০টি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালা শান্তিমন্ত্রের আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয়েছিল’, জানান পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক বিজয় জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের মানুষের কাছেই যোগব্যায়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলিতে এটি যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পছন্দের ক্যারিয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা-ও দেখা যাচ্ছে।
বিজয় জয়সওয়াল বলেন, ‘যোগকে সবার জীবনের অংশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পতঞ্জলি যোগ সমিতি ভালো যোগ প্রশিক্ষকদের একটি গোষ্ঠী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
বিজয়বাবু জানান, যোগের বিষয়ে উৎসাহী এমন হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আশা, কোভিড-১৯ এর পরে যোগ ইনস্ট্রাক্টর ও ট্রেনারদের চাহিদা বাড়বে।
-
বিনোদন3 days ago
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, ভোটে কি দাঁড়াবেন?
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৮ লক্ষ যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে কেন্দ্রের এই প্রকল্প, জানুন বিস্তারিত
-
রাজ্য3 days ago
বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকে সমর্থন, স্পষ্ট জানালেন তেজস্বী যাদব
-
রাজ্য2 days ago
৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত