অনুষ্ঠান
শাস্ত্রীয় নৃত্যে মঞ্চ কাঁপাল বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা
সুস্থ স্বাভাবিক ফুটফুটে একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন সংঘমিত্রা। ছোট্টো মেয়েকে ঘিরে স্বপ্ন, আনন্দ উচ্ছ্বাসের কোনো সীমা ছিল না। একটু একটু করে বড়ো হচ্ছিল সে। প্রকৃতির নিয়ম মেনে টলমল পায়ে চলতে শিখল। আধো আধো নানান শব্দের ফোয়ারাও ছুটল তার মুখে। কিন্তু হঠাৎ নেমে এল নিয়তির করাল ছায়া। দারুণ জ্বর। প্রায় অচৈতন্য অবস্থা ছোট্টো মেয়ের। কিছুতেই নামছে তাপমাত্রা। […]

স্মিতা দাস
সুস্থ স্বাভাবিক ফুটফুটে একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন সংঘমিত্রা। ছোট্টো মেয়েকে ঘিরে স্বপ্ন, আনন্দ উচ্ছ্বাসের কোনো সীমা ছিল না। একটু একটু করে বড়ো হচ্ছিল সে। প্রকৃতির নিয়ম মেনে টলমল পায়ে চলতে শিখল। আধো আধো নানান শব্দের ফোয়ারাও ছুটল তার মুখে। কিন্তু হঠাৎ নেমে এল নিয়তির করাল ছায়া। দারুণ জ্বর। প্রায় অচৈতন্য অবস্থা ছোট্টো মেয়ের। কিছুতেই নামছে তাপমাত্রা। একা মায়ের নাজেহাল অবস্থা। যদিও বা ক’দিন পরে জ্বর কমল কিন্তু হারিয়ে গেল চলা, কথা বলার ক্ষমতা। দিশেহারা মা নানা জায়গায় ছুটে বেড়ান। অবশেষে ঠিক চিকিৎসা আর পরামর্শে কিছুটা সুস্থ হল মেয়ে। এখন বয়স ছয় বছর। সাধারণের মতো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হলেও অনেকটাই স্বাভাবিক সে। এখন সে কাঁপা কাঁপা পায়ে হাঁটতে পারে। কথা বলতে পারে। এমনকি মায়ের হাত ধরে নাচতেও পারে।

অর্চিষা আর ওর মা সংঘমিত্রার নৃত্যানুষ্ঠান
ঘটনাটা কাল্পনিক নয়। বাস্তব। অর্চিষা আর তার মা সংঘমিত্রার জীবনসংগ্রামের কাহিনী। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য এমপাওয়ারমেন্ট অব পার্সনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিসএবিলিটিস (দিব্যাঙ্গজন)-এর আয়োজনে তাঁদের এই সত্যি ঘটনাকে মঞ্চস্থ করল অর্চিষা আর তার মা সংঘমিত্রা।

ফুলের সাজে ফুলেরা
এনআইইপিআইডি-এর অফিসার ইনচার্জ এইচ এস কেশওয়াল বলেন, শুধু ওরাই নয়, প্রায় ৮৫ জন বিশেষভাবে সক্ষম শিশু অংশগ্রহণ করেছে এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানে। বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান হল বরানগর রবীন্দ্রভবনে।

আমার মুক্তি আলোয় আলোয়
মঞ্চস্থ হল বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের শাস্ত্রীয় নৃত্যানুষ্ঠান থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নৃত্য ও সৃজনশীল বা আধুনিক নৃত্যও। গাইল গানও। এদের এই অনুষ্ঠান হার মানিয়ে দিতে পারে অন্য যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকেও। মায়েদের হাত ধরে ছোটো ছোটো শিশুরা নৃত্যে নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করল।
আরও পড়ুন : চেনা অচেনা নানা ফর্মের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায়

মায়ের হাত ধরে ন্ররত্যে মগ্ন শিশুরা
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীমতি অলকানন্দা রায়। তিনি এই শিশুদের বাবা-মায়ের উদ্দেশে বলেন, এই সব বাবা-মা ভাগ্যবান, যে এমন শিশুদের অভিভাবক হয়েছেন। সাধারণ শিশুরা কখনও সখনও ভুল, অন্যায়, পাপ করতে পারে। কিন্তু এরা চিরকাল নিষ্পাপ থেকে যাবে। এমন মানুষের সান্নিধ্যে থাকা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন অলোকানন্দা রায়-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা
অর্চিষার মায়ের মতো এমন সংগ্রামে নেমেছেন অনেক বাবা মা-ই। বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তানকে একটা নিরাপদ, সুস্থ জীবন দেওয়ার সংগ্রাম। সংস্থার প্রধান বলেন, তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব রকম সহযোগিতা করতে সব সময় সঙ্গে থাকবে এনআইইপিআইডি।

শাস্ত্রীয় নৃত্য – গণেশ বন্দনা
হেলেন কেলারকে আমরা কেউই ভুলে যাইনি। কে বলতে পারে এরাও তেমনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে হয়ে উঠবে না অন্য এক হেলেন কেলার?
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
অনুষ্ঠান
যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে ১৮০ জন যোগশিক্ষককে শংসাপত্র দিল হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি
শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যোগের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং আজকের প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য যোগব্যায়াম গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলস কাজ করে চলেছে হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক এবং জেলার দায়িত্বরতদের ১৮০টি শংসাপত্র প্রদান করা হল।
যাঁর মিশন ‘স্বাস্থ্য ভারত, আত্মনির্ভর ভারত’, সেই স্বামী রামদেবের অনুপ্রেরণায় শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক স্বামী প্রবীরদেব এবং বিজয় জয়সওয়াল। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতার রাজ্য সভাপতি এবং অন্য সদস্যরাও।
‘কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক, জেলার দায়িত্বরত এবং যোগশিক্ষকদের হাতে ১৮০টি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালা শান্তিমন্ত্রের আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয়েছিল’, জানান পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক বিজয় জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের মানুষের কাছেই যোগব্যায়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলিতে এটি যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পছন্দের ক্যারিয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা-ও দেখা যাচ্ছে।
বিজয় জয়সওয়াল বলেন, ‘যোগকে সবার জীবনের অংশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পতঞ্জলি যোগ সমিতি ভালো যোগ প্রশিক্ষকদের একটি গোষ্ঠী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
বিজয়বাবু জানান, যোগের বিষয়ে উৎসাহী এমন হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আশা, কোভিড-১৯ এর পরে যোগ ইনস্ট্রাক্টর ও ট্রেনারদের চাহিদা বাড়বে।
-
রাজ্য3 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
রাজ্য3 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী