অনুষ্ঠান
সাবর্ণ ইতিহাস উৎসবের প্রণব রায় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কলারশিপ প্রদান

স্মিতা দাস
নতুন সূর্য আলো দাও আলো দাও।
সাবর্ণ সংগ্রহশালার পঞ্চদশ আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসবের তৃতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পালন করা হল প্রণব রায় দিবস হিসাবে। গত ১৫ বছর ধরেই সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার তাঁদের প্রবাদপ্রতিম সদস্য প্রণব রায় চৌধুরীর নামে এই দিনটি উদযাপন করে আসছে। এই প্রণব রায় হলেন সেই প্রণব রায় যিনি বাংলা আধুনিক গানের জগৎকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন। একাধিক গান রচনা করেছিলেন ও গেয়েছিলেন।
দেবর্ষি রায় চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসবের তৃতীয় দিনে মঙ্গল বার পালন করা হয় দাদু অর্থাৎ প্রণব রায় চৌধুরী দিবস হিসাবে। প্রণব রায় হলেন গীতিকার প্রণব রায়। যাঁকে বাংলা গানের জাদুকর বলা হয়। এই দিনে বিশিষ্ট মানুষরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেন। এই বছরও সেই আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
দেবর্ষির কথায় সাধারণ ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব জায়গাতেই হয়। কিন্তু তাঁরা একটু আলাদা কিছু করে দেখাতে চান। সেই মতো করেই প্রতি বার অনুষ্ঠান সাজানো হয়। এ বারেও তাই।
এ দিনের অন্যতম অনুষ্ঠান ছিল বৈশাখী রায় চৌধুরী মেমোরিয়াল স্কলারশিপ দেওয়ার বিষয়টি। এটি দেওয়া হয় ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রনি বসাককে। তবলায় দক্ষতার কারণে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয় রনিকে।

রনি খবর অনলাইনকে জানিয়েছে, এই স্কলারশিপ পেয়ে সে খুবই খুশি। এমন ভাবে সকলের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে ভবিষ্যতে আরও দূর এগোতে পারবে। রনি জানায়, এখন সে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শিখছে। উল্লেখ্য এই দিনের অনুষ্ঠানে তবলা বাজিয়ে সকলে শোনায় সে।
এমনই অন্য রকম আয়োজনের মধ্যে ছিল কলকাতার ২০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে লেখা একটি শ্রুতি নাটক। এই শ্রুতিনাটক পরিবেশনায় ছিল বড়িশা দামাল। নীলাদ্রি লাহিড়ীর পরিচালনায় এই শ্রুতিনাটক পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ের আকর্ষণ ছিল তরুণ গোস্বামীর শিস ধ্বনিতে হেমন্ত-মান্না-শ্যামল।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। ছোটো পর্দার খুদে অভিনেতা অঙ্কিত মজুমদার, অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়।

অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রণব রায় তাঁর বাবার পরিচালিত তিন খানি ছবিতে গান গেয়েছিলেন। প্রণব রায় যে এই পরিবারের সদস্য তা জেনে খুবই খুশি হয়েছেন। এমন এক জন মানুষের জন্য গত ১৫ বছর ধরে যে দিবস উদযাপিত হচ্ছে তা সত্যিই খুব গর্বের কথা। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ যদি হয় সাধারণ মানুষ অনেক কিছু জানতে পারবে ও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি। পাশাপাশি এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।
দেবর্ষি বলেন, ১৯৩৯ সাল নাগাদ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর নেতাজিকে বেহালার বড়িশার বড়ো বাড়ির এই বিশাল ঠাকুরদালানেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সংবর্ধনা দিয়েছিলেন সাউথ সুবার্বন মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম কমিশনার সুধাংশু কুমার রায়চৌধুরী। সেই জায়গায় ছোটো পর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নেতাজির ছোটোবেলার ভূমিকায় অভিনয় করা অঙ্কিতকে সংবর্ধনা দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে অঙ্কিত তার অভিনীত নেতাজি চরিত্রের একটি সংলাপ পাঠ করে শোনায়।
অনুষ্ঠানে অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধযায় বলেন, এই জায়গায় আসতে পারাটাই একটা নস্টালজিয়া। এখানে অনেক ইতিহাস গড়ে উঠেছে। তিনি ইতিহাসকে খুবই ভালোবাসেন। তবে সব সময় সত্যিটা সকলের সামনে তুলে ধরা হয় না। কিন্তু সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার সেই প্রচেষ্টা করে চলেছে। আসল ইতিহাসকে তুলে ধরছে। এই উদ্যোগ খুবই সুন্দর। এই প্রচেষ্টা আরও বড়ো জায়গায় পৌঁছোনো উচিত। সকলে মিলে এই প্রচেষ্টা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। তার জন্য যা যা করণীয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর তরফ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা তিনি করবেন।
পড়ুন – কালীঘাট সতীপীঠের ৪৫০ বছর আগের বস্ত্রখণ্ড প্রদর্শিত হচ্ছে সাবর্ণদের ইতিহাস উৎসবে
অনুষ্ঠান
বাঁকুড়ার আকুই গ্রামে আবৃত্তি সম্মেলন
এ বছর আবৃত্তি সম্মেলনের অনুষ্ঠান মঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশে।


ইন্দ্রাণী সেন বোস, বাঁকুড়া: আকুই আবৃত্তি সমাজের উদ্যোগে চতুর্থ আবৃত্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের আকুই গ্রামে। আবৃত্তি সম্মেলনের থিম ছিল আবৃত্তির আবর্তে মননের উৎসব। গাছে জল দিয়ে এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন রমাপ্রসাদ সেন, প্রসেনজিৎ সরকার, নীহারেন্দু দত্ত, দিলীপ দাঁ প্রমুখ।
এ বছর আবৃত্তি সম্মেলনের অনুষ্ঠানমঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশে। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিক্ষক ও শিল্পী রবীন মণ্ডল ও তাঁর সম্প্রদায়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে পার্থ দে ও উমাপদ আচার্য জানান, আবৃত্তি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে উঠেছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও কবিতা পাঠ ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে বিজয়া প্রতিযোগী ও বিশিষ্টজনদের স্মারক-সন্মাননাও প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বর্ধমানের একটি সংস্থা শ্রুতি নাটক উপস্থাপন করে। অতিথিরা সংগীত পরিবেশন করেন ও কবিতা পাঠ করেন।
এ বছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১২৫ বছরে পা রাখল। সেই উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া জেলায় নেতাজির আগমনের উপর তথ্যমূলক আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. প্রসেনজিৎ সরকার। বাঁকুড়ার কোথায় কোথায় নেতাজি এসেছিলেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেন প্রসেনজিৎবাবু। পাশাপাশি ইন্দাস থানার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা আলোচনা করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পার্থ দত্ত।
আরও পড়ুন: বামনিয়া শ্রীমা সারদা সেবাশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
-
রাজ্য21 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী