অনুষ্ঠান
সাবর্ণ সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘মুর্চ্ছনা – রাগ সঙ্গীত বৈঠক’

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের পারিবারিক সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রতি বছরের মতোই ধুমধাম করে পালন করল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ। এই উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল প্রত্যেক বারের মতোই আয়োজকরা তার নাম দিয়েছিলেন ‘মুর্চ্ছনা – রাগ সঙ্গীত বৈঠক’। এ বার ছিল ৭ম বার্ষিক বৈঠক। অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক আর ইতিহাস আলোচনার মধ্যে দিয়ে পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। এ দিন বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক নীলাদ্রি লাহিড়ী।
উৎসবমুখর এই সন্ধ্যায় উপস্থিত দর্শকদের দৃষ্টিনন্দন উচ্চাঙ্গ নৃত্যশৈলী উপহার দেন ওড়িষী নৃত্যশিল্পী মিতিল দাস। ঠুমরী আর খেয়াল গেয়ে শোনান আঁখি ভৌমিক। সেতারে ছিলেন সপ্তর্ষি হাজরা। তবলায় সহযোগিতা করেন পীযুষ ব্যানার্জি, হারমোনিয়াম বাজান দেবপ্রসাদ দে। গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন দীপশিখা চৌধুরী।

সর্বোপরি পরিষদের পক্ষ থেকে কলকাতার ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। আলোচনা করেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সম্পাদক ও সাবর্ণ সংগ্রহশালার অধ্যক্ষ দেবর্ষি রায়চৌধুরী।

দেবর্ষিবাবুর কথায় উঠে আসে, সেই সব ঐতিহাসিক বিষয় যা থেকে প্রমাণিত কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা বা জনক জব চার্নক নন এবং ২৪ আগস্ট কলকাতার জন্মদিনও নয়। পাশাপাশি অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি পরিবারের সঙ্গে যে সাবর্ণ পরিবারের একটি গভীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল সে কথাও তুলে ধরেন তিনি। আগামী প্রজন্মের কাছে যে কলকাতার ইতিহাসের যথাযথ তথ্য আর ব্যাখ্যা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন, সে কথাও বলেন দেবর্ষিবাবু। একমাত্র বাঙালি সংগ্রহশালার জন্মদিনটিতে ইতিহাসচর্চা করার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান তিনি। কারণ ইতিহাসের মধ্যেই থাকে শিকড়ের খোঁজ। আর তা ধরেই আগামী দিনে এগিয়ে চলা সম্ভব।
সাবর্ণদের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
অনুষ্ঠান
যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে ১৮০ জন যোগশিক্ষককে শংসাপত্র দিল হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি
শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যোগের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং আজকের প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য যোগব্যায়াম গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলস কাজ করে চলেছে হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক এবং জেলার দায়িত্বরতদের ১৮০টি শংসাপত্র প্রদান করা হল।
যাঁর মিশন ‘স্বাস্থ্য ভারত, আত্মনির্ভর ভারত’, সেই স্বামী রামদেবের অনুপ্রেরণায় শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক স্বামী প্রবীরদেব এবং বিজয় জয়সওয়াল। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতার রাজ্য সভাপতি এবং অন্য সদস্যরাও।
‘কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক, জেলার দায়িত্বরত এবং যোগশিক্ষকদের হাতে ১৮০টি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালা শান্তিমন্ত্রের আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয়েছিল’, জানান পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক বিজয় জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের মানুষের কাছেই যোগব্যায়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলিতে এটি যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পছন্দের ক্যারিয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা-ও দেখা যাচ্ছে।
বিজয় জয়সওয়াল বলেন, ‘যোগকে সবার জীবনের অংশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পতঞ্জলি যোগ সমিতি ভালো যোগ প্রশিক্ষকদের একটি গোষ্ঠী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
বিজয়বাবু জানান, যোগের বিষয়ে উৎসাহী এমন হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আশা, কোভিড-১৯ এর পরে যোগ ইনস্ট্রাক্টর ও ট্রেনারদের চাহিদা বাড়বে।
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
গাড়ি ও বাইক1 day ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা