অনুষ্ঠান
শুক্রবার শুরু হচ্ছে ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’-এর সপ্তাহব্যাপী কবিপ্রণাম

খবর অনলাইন ডেস্ক: রাত পেরিয়ে ভোর হলেই পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবির ১৬০তম জন্মদিন। প্রতি বছরের মতো এ বারও কথা ছিল হই হই করে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব পালন করার। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এক ছোঁয়াচে ভাইরাস সব রুটিন বদলে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আজ সারা বিশ্ব ঘরবন্দি, বাঙালিও তার ব্যতিক্রম নয়।
তা বলে বাঙালির প্রিয় কবির জন্মদিন পালন তো আর থেমে থাকতে পারে না। নাই বা হল প্রকাশ্যে জন্মদিন-উৎসব আয়োজন করা? ঘরে বসে গান গেয়ে, আবৃত্তি করে, নৃত্যের তালে তালে পা মিলিয়ে কবিকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাতে অসুবিধা কোথায়? বিশেষ করে প্রযুক্তির সুবিধা যখন রয়েছে।

তাই পঁচিশে বৈশাখে ধুমধাম করে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান হবে না ঠিকই, তবে প্রত্যেকেই ঘরবন্দি অবস্থাতেই তাঁদের নিজের মতো করে রবি-কবিকে স্মরণ করবেন। ব্যতিক্রম নয় ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’ও। তাদের উদ্যোগে পঁচিশে বৈশাখ, শুক্রবার থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে চলবে কবিগুরুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ।
‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’ তাদের পঁচিশ বছর পূর্তিবর্ষে পরিকল্পনা করেছিল সারা বছর ধরে নানা ধরনের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান করার। তাতে বর্তমান ছাত্রীদের সঙ্গে যোগ দিতেন প্রাক্তনীরা এবং সকলের পরিবারবর্গ। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে এই পরিকল্পনা বানচাল। নতুন করে চিন্তাভাবনা চলল। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে ঘরে বসেই কবির জন্মদিন পালন করা হবে।
প্রথমে ঠিক ছিল, ঘরে বসেই রেকর্ডিং করে আর নৃত্যাঙ্গনের কিছু পুরোনো অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্যে মিশেল করে অনুষ্ঠান পরিবেশন করার। এই অনুষ্ঠানে শোনা ও দেখা যেত ছাত্র-ছাত্রীদের নাচ, গান আর আবৃত্তি। এই পরিবেশনা সীমাবদ্ধ থাকত বাগুইআটির আঙিনায়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা বৃহত্তর রূপ নিয়েছে। ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’-এর কবিপ্রণামে যোগ দিচ্ছেন কলকাতা, শান্তিনিকেতন, মুম্বই, বাংলাদেশ, এমনকি সুদূর লন্ডনের বিশিষ্ট শিল্পীরা। পচিঁশে বৈশাখ শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলবে সপ্তাহব্যাপী, সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে|
সপ্তাহব্যাপী এই কবিপ্রণামে থাকছেন সংগীতশিল্পী মোহন সিং খাংগুরা ও তাঁর পরিবার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ইন্দ্রাণী সেন, শ্রাবণী সেন, মনোজ মুরলী নায়ার, মনীষা মুরলী নায়ার, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। থাকছেন নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, মালবিকা সেন, কৌশিক চক্রবর্তী, মধুমিতা বসু, শুভময় সেন, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত ও তাঁর পরিবার, সুদেষ্ণা সান্যাল রুদ্র, জয়িতা বিশ্বাস, কাজল গুপ্ত ও অন্যরা| থাকছেন বাচিকশিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও রয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শান্তিনিকেতন থেকে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (সংগীত ভবন), ত্রিপুরা থেকে মনীষা পাল চৌধুরী, মুম্বই থেকে শুভ্রজিৎ রায়, ঢাকা থেকে গোলাম হায়দার ও মিজানুর রহমান তাসলিম, চট্টগ্রাম থেকে এহতেশামুল হক, সাবিনা ইয়াসমিন সাথী ও কৃষ্ণেন্দু দে, লন্ডন থেকে স্যান্ডি ম্যান চক্রবর্তী। এ ছাড়া থাকবেন যন্ত্রসংগীতে বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী এবং ঢাকিসম্রাট গোকুল দাস, গোপাল দাস ও অন্যরা|
এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’-এর পক্ষ থেকে সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
অনুষ্ঠান
যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে ১৮০ জন যোগশিক্ষককে শংসাপত্র দিল হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি
শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যোগের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং আজকের প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য যোগব্যায়াম গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলস কাজ করে চলেছে হাওড়ার পতঞ্জলি যোগ সমিতি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক এবং জেলার দায়িত্বরতদের ১৮০টি শংসাপত্র প্রদান করা হল।
যাঁর মিশন ‘স্বাস্থ্য ভারত, আত্মনির্ভর ভারত’, সেই স্বামী রামদেবের অনুপ্রেরণায় শংসাপত্র গ্রহণকারীরা হাওড়ার পতঞ্জলি যোগপীঠে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী যোগশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক স্বামী প্রবীরদেব এবং বিজয় জয়সওয়াল। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতার রাজ্য সভাপতি এবং অন্য সদস্যরাও।
‘কলকাতার রাজ্য শিক্ষক, রাজ্য আধিকারিক, জেলার দায়িত্বরত এবং যোগশিক্ষকদের হাতে ১৮০টি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালা শান্তিমন্ত্রের আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয়েছিল’, জানান পশ্চিমবঙ্গের পৃষ্ঠপোষক বিজয় জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের মানুষের কাছেই যোগব্যায়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলিতে এটি যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পছন্দের ক্যারিয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা-ও দেখা যাচ্ছে।
বিজয় জয়সওয়াল বলেন, ‘যোগকে সবার জীবনের অংশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পতঞ্জলি যোগ সমিতি ভালো যোগ প্রশিক্ষকদের একটি গোষ্ঠী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
বিজয়বাবু জানান, যোগের বিষয়ে উৎসাহী এমন হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আশা, কোভিড-১৯ এর পরে যোগ ইনস্ট্রাক্টর ও ট্রেনারদের চাহিদা বাড়বে।
-
রাজ্য3 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য3 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল3 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
বিনোদন1 day ago
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, ভোটে কি দাঁড়াবেন?