গান-বাজনা
মাস পেরিয়ে সমান তালে চলছে বাওবা টিভির অনুষ্ঠান
আমাদের অনেককে করে তুলেছে মানসিক বিকারগ্রস্থ। কিন্তু এই বিষের মাঝেও আমাদের করে তুলেছে আত্মনির্ভর, শিখিয়েছে অনেক কিছু।


নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশে নতুন ভাবে পথ চলতে আমরা সবাই, পেছন ফিরে তাকালে ২০২০ সবার কাছেই যেন এক আতংকের নাম। আমাদের অনেককে করে তুলেছে মানসিক বিকারগ্রস্থ। কিন্তু এই বিষের মাঝেও আমাদের করে তুলেছে আত্মনির্ভর, শিখিয়েছে অনেক কিছু।
কারুর সাহায্য ছাড়াই প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকা, এগিয়ে চলার শক্তি সঞ্চার করেছে আমাদের মধ্যে। এই সময় নিজেকে না থামিয়ে রেখে সবার সামনে মেলে ধরেছে নিজেদের প্রতিভা।
ডিজিটাল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বাওবা টিভি। দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের এক সেতু । এক মাস অতিক্রম করে স্বগৌরবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে বাওবা টিভি।
ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর থেকে সম্প্রচারিত ফেসবুকের পাতায় অন্তর্জালের এই সম্পূর্ণ বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি র অনুষ্ঠান “মনের মিলন” শুধুমাত্র জনপ্রিয়তাই নয়, চর্চার মাধ্যম হিসেবে ১৭ টি পর্বেই পাতার লাইক পেয়েছে ৫০০ টি ।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮ টায় এপার-ওপার মিলেমিশে একাকার করে দিতে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে হাজির থাকছেন অনিন্দ্যকুমার মিত্র ।
এখনো পর্যন্ত যেসকল মননশীল শিল্পীরা যুক্ত হয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন এই সময় তাঁদের নাম না নিলেই নয়
✓ অনিমিত ভট্টাচার্য (আমেরিকা)
✓ পলি পারভীন (বাংলাদেশ)
✓ জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় (ভারত)
✓ গোলাম হায়দার (বাংলাদেশ)
✓ মৌসুমী সাহা (ভারত)
✓ অলোক রায় ঘটক (ভারত)
✓ আংকিতা নন্দী (বাংলাদেশ)
✓ অজন্তা মৈত্র (অস্ট্রেলিয়া)
✓ দীধিতি চক্রবর্তী (ভারত)
✓ সুস্মিতা চৌধুরী (বাংলাদেশ)
✓ দেবাশীষ ঘোষ (ভারত)
✓ মাসুদ আহম্মেদ (বাংলাদেশ)
✓ অপর্ণা দে (ভারত)
✓ দেবী সাহা (অস্ট্রেলিয়া)
✓ শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় (ভারত)
✓ কাজী মাহতাব সুমন (বাংলাদেশ)
✓ সুজাতা কর্মকার (ভারত)
✓ সঞ্চিতা রাখী (বাংলাদেশ)
✓ পরিমল চক্রবর্তী (ভারত)
✓ সুমিত্রা বিশ্বাস (বাংলাদেশ)
✓ নন্দিনী লাহা (ভারত)
✓ অভি মোস্তাফিজ (বাংলাদেশ)
✓ পারমিতা দাশগুপ্ত (ভারত)
✓ প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য্য (বাংলাদেশ)
✓ পীতম ভট্টাচার্য (ভারত)
✓ মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি (বাংলাদেশ)
✓ রাজা চৌধুরী (ভারত)
✓ কাবেরী দাশ (আমেরিকা)
✓ অমিত চক্রবর্তী (ভারত)
✓ এস. কে. সুদীপ তন্ময় (বাংলাদেশ)
✓ জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় (ভারত)
✓ অপর্ণা খান (বাংলাদেশ)
✓ সোমা চৌধুরী (ভারত)
✓ দিলসাদ জাহান পিউলি (বাংলাদেশ)
✓ অন্তরা মুখার্জী (ভারত)
✓ তাপস কুমার বড়ুয়া (বাংলাদেশ)
✓ সঞ্চিতা মহাপাত্র
বাওবা টিভি-র এই উদ্যোগের ডিজিটাল মুদ্রন সহযোগী খবর অনলাইন।
গান-বাজনা
চলে গেলেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক

ঋদি হক: ঢাকা
আবার দুঃসংবাদ! এ বারে চলে গেলেন প্রতিথযশা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক। সকালবেলা বিছানা ছাড়ার পরেই টিভিতে নিউজ চ্যানেলের স্ক্রলে সংবাদ নজরে এল। প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ তীরে কেরাণীগঞ্জ এলাকা, যেখানে মা-বাবা এবং চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক, বরেণ্য রবীন্দ্র গবেষক এবং ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুল হক স্থায়ী বসতি গড়েছেন। সেই কেরাণীগঞ্জেই শেষ ঘুমে গেলেন মিতা। মা-বাবার কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ‘ছায়ানট’-এর শিল্পীদের নিয়ে ৬০ দশকে ঢাকার রমনা বটমূলে ‘এসো হে বৈশাখ এসো’ অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্রগবেষক, গায়ক, সংগঠক এবং সাংবাদিক ওয়াহিদুল হক। ‘ছায়ানট’-এর প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চা এবং শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীতের প্রসারে আমৃত্য নিবেদিত ছিলেন ওয়াহিদুল হক। সেই ওয়াহিদুল হকের ভ্রাতুষ্পুত্রী মিতা হক। চাচার কাছেই সংগীতে হাতেখড়ি মিতার।
রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে প্রয়াত হন মিতা। কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সর্বশেষ দিন চারেক আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিডনির রোগে আক্রান্ত মিতা হকের নিয়মিত ডায়ালিসিস হত। তবে ‘ছায়ানট’-এ নিয়মিতই আসতেন। রবিবার ভোর রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিচিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন মিতা।
কথা অনুযায়ী বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় ‘ছায়ানট’-এ। খবর পেয়ে এখানেই ছুটে আসেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। তাঁরা ফুল আর অশ্রুতে শেষ বিদায় জানান মিতা হককে। ‘সুরতীর্থ’ নামের একটি সংগীতপ্রতিষ্ঠান ছিল তাঁর। সেখানে পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তবে ‘ছায়ানট’ ছিল তাঁর হৃদস্পন্দন। এই সংগঠনটির ছায়াতেই নিজের বিকাশ ও বেড়ে ওঠা। এক পর্যায়ে ‘ছায়ানট’-এর রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে।
শিল্পীর জন্ম ১৯৬৩ সালে। প্রথমে চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে যোগ দেন। ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেছেন। তাঁর স্বামী অভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান বেশ ক’ বছর আগে প্রয়াত হন। একমাত্র মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর স্বামী অভিনেতা মুস্তাফিজ শাহিন।
১৯৯০ সালে ‘বিউটি কর্নার’ থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তাঁর একক অ্যালবামের সংখ্যা ২৪টি, যার ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ প্রকাশ পায়। শিল্পী মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান।
আরও পড়ুন: বরেণ্য সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার আর নেই
গান-বাজনা
শান্তিনিকেতনের উৎসর্গ মঞ্চে বসন্ত উৎসবের সূচনা
পাঁচটি সম্মেলক সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি প্রায় ৩০ জন শিল্পী বসন্তের গান উপহার দেন রবিসন্ধ্যায়।


নিজস্ব প্রতিনিধি: বসন্ত তার রঙ দিয়ে যায় মাটির বুকে। সেই রঙ দিয়ে আঁকা হয় কৃষ্ণচূড়া পিয়ালের বন। সেই রঙ দিয়ে আঁকা হয় বনের নবীন পাতার করতালি। শুষ্ক রুক্ষ বনভূমির কোলে বসন্তের গানে গুনগুন করে মৌপিয়াসি অলিরা।
দীর্ঘ মহামারির ঘরবন্দি জীবনে বসন্ত উদযাপন দিয়ে দ্বার খোলা হল মঞ্চের। গত বছর উৎসবের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
‘ছায়াবীথি’ নিবেদিত ‘বসন্ত তার গান লিখে যায়’ শীর্ষক এক বসন্ত উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল বোলপুর শান্তিনিকেতনের উৎসর্গ মঞ্চে। পাঁচটি সংগীত গোষ্ঠীর পরিবেশনের পাশাপাশি প্রায় ৩০ জন শিল্পী বসন্তের গান উপহার দেন রবিসন্ধ্যায়। সংযোজনায় ছিলেন তমালী ঘোষ ও বিংশতি বসুমুখোপাধ্যায়। ধ্বনি সুরঝঙ্কার (বোলপুর), অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় গৌতম ভৌমিক ও অগ্নি মাইতি।

‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’, ‘দখিন হাওয়া জাগো জাগো’, ‘যদি তারে নাই চিনি’, ‘ঝরা পাতা গো’, ‘মধুর বসন্ত এসেছে’, ‘দে তোরা আমায় নূতন করে দে’, ‘এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে’-সহ নানা গানে বসন্তের ডালি ভরে উঠেছিল। সাগরিকা মজুমদার, কৃষ্ণেন্দুদের ‘ও আমার চাঁদের আলো’, ‘পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে’ — অপূর্ব নিবেদন ছিল।
তবে শুধু গান নয়। ঊর্মিমালা দত্তগুপ্তর নৃত্যের সঙ্গে দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘যদি তারে নাই চিনি গো চিনি’ গানটি ছিল যথাযথ।

সম্মেলক গানে প্রগতি চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘ঐকতান’, জ্যোতিকণা দাশগুপ্তের পরিচালনায় ‘শতভিষা সংগীত বিতান’, সোমা মিত্রের পরিচালনায় ‘সুরঙ্গম’ (দুর্গাপুর), দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘পুনশ্চ’ এবং শান্তা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘বনবাণী’র নিবেদন প্রেক্ষাগৃহে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। সম্মেলক গানে ‘বসন্তে ফুল গাঁথল’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ‘বসন্তে কি শুধু কেবল ফোটা ফুলের মেলা’ ও ‘মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল’ শ্রোতাদের মন আকৃষ্ট করে।
উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অতিথি কবি সৈয়দ হাসমত জালাল। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় স্বরচিত দু’টি কবিতা।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মলয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শোনা যায় ‘চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি’ গানটি। সংগীত ভবনের অধ্যাপক প্রশান্ত ঘোষ এবং অধ্যাপক সুরজিৎ রায় পর পর পরিবেশন করলেন ‘পথ দিয়ে কে যায় গো চলে’ ও ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’।

যাঁদের সহযোগিতায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি প্রাণ পেয়েছিল তাঁরা হলেন কীবোর্ডে অনিমেষ চন্দ, তবলায় কমলেশ রায় ও এসরাজে সৌগত দাস।
গান-বাজনা
প্রখ্যাত বেহালাবাদক ও শিক্ষাগুরু ড. শিশিরকণা ধর চৌধুরী প্রয়াত
১৯৯৭ সালে তাঁকে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মানে সম্মানিত করা হয়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত বেহালাবাদক ও শিক্ষাগুরু ড. শিশিরকণা ধর চৌধুরী। মঙ্গলবার গুরগাঁওয়ে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩। তিনি তাঁর কন্যা সুরঞ্জনীকে রেখে গেলেন। তাঁর কন্যাই মায়ের মৃত্যুসংবাদ দিয়েছেন।
হিন্দুস্তানি উচ্চাঙ্গসংগীতের অন্যতম পথিকৃৎ শিশিরকণার জন্ম ১৯৩৭ সালে শিলং-এ। মাত্র ৭ বছর বয়সে উস্তাদ মতি মিয়াঁর কাছে বেহালা বাজানো ও উচ্চাঙ্গসংগীত শেখা শুরু হয়। এর পর তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন পণ্ডিত ভিজি যোগের কাছে। ১৯৫৬ সালে শিশিরকণাকে ছাত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন উস্তাদ আলি আকবর খান।
বেহালা বাজানো ছাড়াও ভায়োলা (বেহালা জাতীয় বীণা) বাজাতেন এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত গায়নেও দক্ষ ছিলেন। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি ভায়োলা দিয়ে আলাপ শুরু করতেন এবং তার পর হাতে তুলে নিতেন বেহালা। বাজাতেন গত। ঝড় তুলতেন বিভিন্ন রাগরাগিণীতে।
আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নিয়মিত অনুষ্ঠান করতেন শিশিরকণা। তিনি বেহালাবাদক হিসাবে দীর্ঘকাল ধরে পারফরম্যান্স করে গিয়েছেন। তবে সংগীত শিক্ষাদানের কাজেই নিজেকে বেশি করে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। যন্ত্রসংগীতের অধ্যাপক হিসাবে ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি যন্ত্রসংগীতে আলাউদ্দীন খাঁ প্রফেসরও ছিলেন। যন্ত্রসংগীতের পাশাপাশি কণ্ঠসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ‘ডিন অব ফ্যাকাল্টি’র পদ অলংকৃত করেন। এ ছাড়াও ১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবেও কাজ চালিয়েছেন ড. শিশিরকণা ধর চৌধুরী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলি আকবর কলেজ অব মিউজিক-এর সঙ্গেও শিশিরকণা যুক্ত ছিলেন। হিন্দুস্তানি যন্ত্রসংগীতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে তাঁকে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মানে সম্মানিত করা হয়। ২০১৭ সালে ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সে তাঁকে সংগীত সম্মান পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
অনেকেই জানেন না, শিশিরকণা কিছু রাগও সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর সৃষ্ট এমনই দু’টি রাগ হল ‘রসরঞ্জিনী’ ও ‘তরঙ্গিণী’। বেহালাবাদক ইন্দ্রদীপ ঘোষ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে বলেন, “তিনি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বাজাতে গিয়েছিলেন। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তাঁকে নতুন কিছু বাজাতে অনুরোধ করেন। সেই সময় তিনি মা কালীকে উৎসর্গ করে ‘ভবতারিণী’ নামে নতুন একটি রাগ সৃষ্টি করেন।”
ড. শিশিরকণা ধর চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের উচ্চাঙ্গসংগীত মহলে এবং শিক্ষামহলে অপূরণীয় ক্ষতির সৃষ্টি হল।
-
রাজ্য21 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী