গান-বাজনা
মা সারদার জন্মতিথিতে জমজমাট সাংস্কৃতিক আসর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারে

ওয়েবডেস্ক: বুধবার ছিল শ্রীশ্রীমা সারদার ১৬৭তম জন্মতিথি। সেই উপলক্ষ্যে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল নানা অনুষ্ঠান। শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
দমদম চিড়িয়া মোড়ের কাছে সমর সরণিতে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারের মূল কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভক্তকুলের ভিড়। ভোরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে শুরু হয় দিন। তার পরে সারা দিনই চলেছে পূজার্চনা, যজ্ঞাদি। আশ্রমের আচার্য স্বামী সম্বুদ্ধানন্দের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের মহারাজরা পূজার্চনায় যোগ দেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আশ্রমের ভক্তবৃন্দ প্রসাদ গ্রহণ করেন।

সন্ধ্যায় আশ্রম প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মনোময় ভট্টাচার্য, হৈমন্তী শুক্লা, শান্তনু রায়চৌধুরী প্রমুখ। পরিবেশিত হয় ওড়িশার ‘গোতিপুয়া’ নৃত্য।
চৈতালি মণ্ডল চারটি রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এর পর সংগীত পরিবেশন করেন মনোময় ভট্টাচার্য। রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদী, ভক্তিগীতি-সহ নানা ধরনের তেরোখানি গান দিয়ে নিজের পরিবেশনের ডালি সাজান। এর মধ্যে স্বামী সম্বুদ্ধানন্দের লেখা ও সুর করা দু’খানি গানও ছিল। টানা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংগীত পরিবেশন করে শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখেন মনোময়।

এর পর পরিবেশিত হয় ওড়িশার ‘গোতিপুয়া’ নৃত্য। ওড়িশার ক্লাসিক নৃত্যশৈলী ওড়িশিরই একটি ঘরানা ‘গোতিপুয়া’। এই ঘরানার উদ্ভব হয় খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে। গোতিপুয়ারা ছিল ছোটো ছোটো ছেলে যাদের মেয়ে সাজিয়ে দেবদাসীদের দিয়ে নাচ শেখানো হত। ষোড়শ শতাব্দীতে বৈষ্ণব কবিরা ওড়িয়া ভাষায় অনেক রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদ রচনা করেন। গোতিপুয়ারা এই সব পদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণে নৃত্য করত।
এ দিন আশ্রম প্রাঙ্গণে ‘গোতিপুয়া’ নৃত্য পরিবেশন করেন কলকাতার ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের শিল্পীরা। তাঁদের নাচের সঙ্গে মিশে ছিল নানা শারীরিক কসরত, যা দেখে বিস্মিত দর্শকরা।

সব শেষে সংগীত পরিবেশন করেন হৈমন্তী শুক্লা ও শান্তনু রায়চৌধুরী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। শুধু অনুষ্ঠান পরিচালনাই নয়, আবৃত্তি করেও তিনি মুগ্ধ করেন শ্রোতা-দর্শকদের। বেশ কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে অনেক রাত পর্যন্ত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।
গান-বাজনা
পলাশপ্রিয়ার আরাধনায় বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ওই অনুষ্ঠান চলে ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে, ফেসবুক পেজে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো এ বছরেও পলাশপ্রিয়ার আরাধনায় দু’ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন। ওই অনুষ্ঠান চলে ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে, ফেসবুক পেজে।
সরকার অনুমোদিত সাংস্কৃতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন দুশোরও বেশি শিল্পী ও সাংস্কৃতিককর্মী। সারা বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের সাংস্কৃতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে। উল্লেখ্য, এ বছরই এই প্রতিষ্ঠান পঁচিশ বছরে পদার্পণ করল।
প্রতি বছরই বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন নামী মঞ্চে সম্পন্ন হয়। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা পরিস্থিতি চলতে থাকায় বাধ্য হয়েই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠান, দীপাবলীর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হয়েছে এবং সমগ্র বিশ্ব থেকেই বিদ্বজ্জনেরা হয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন আর না হয় তাঁদের শুভেচ্ছা পাঠান।

বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের সরস্বতী পূজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শিল্পীরা।
সরস্বতী পুজোয় দু’ দিন ধরে চলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশ- বিদেশের বহু শিল্পী। দেশ থেকে যাঁরা যোগ দেন তাঁরা হলেন কলকাতা থেকে মধুমিতা বসু, ড. তানিয়া দাস, কাজল সুর, রত্না মিত্র, কাকলি চক্রবর্তী, শুভময় সেন, এষা ব্যানার্জি, মহিষাদল থেকে সহেলী পন্ডা, শিলিগুড়ি থেকে শারদা গুহ, শান্তিনিকেতন থেকে দোলন মোহলি, রাঁচি থেকে সুবীর লাহিড়ী ও রিঙ্কু ব্যানার্জি, জামশেদপুর থেকে বাণীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অসম থেকে সুজাতা বানিয়া এবং কেরল থেকে মীরা বিজয়ন।
বিদেশ থেকে যাঁরা যোগ দেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশ থেকে বুলবুল মহালনবিশ, তৌকির আহমদ, শাওন পান্থ, সুবর্ণা রহমান, প্রিয়া ভৌমিক ও আল ইমরান, শ্রীলঙ্কা থেকে নিশি, লন্ডন থেকে ফয়সাল আহমদ, ফ্লোরিডা থেকে বিজয়া সেনগুপ্ত, বস্টন থেকে রাহুল রায় ও স্বপ্না রায় এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে বাচিকশিল্পী দেবী সাহা।
এ ছাড়াও বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন ও ‘আন্তরিক’-এর সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও সরস্বতী পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন|
অনুষ্ঠান
২৫-এ পা বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের, অনুষ্ঠান দেখা যাবে অনলাইনে

স্মিতা দাস
কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সবাই যখন ঘরবন্দি তখন বিভিন্ন উপলক্ষ্যগুলিতে মন খারাপের বোঝা সরিয়ে মনকে প্রশান্তি দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পথে একের পর এক উৎসব পালন করে চলেছে বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন। সেখানে যেমন বাদ যায়নি কবি-বন্দনা তেমনই হয়েছে দেবী-আবাহন। তবে অবশ্যই নিয়মবিধির বেড়াজাল না টপকে এই আয়োজন করেছিল বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন। একই সঙ্গে দেশ ও বিদেশকে মাতিয়ে ছিল তারা তাদের ডিজিট্যাল দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন পার্ফমেন্সের মাধ্যমে। সেই বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের এই বছরই ২৫তম বর্ষ পূর্তি।
সেই বর্ষপূর্তিও উদযাপন করবে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ফেসবুক পেজে। অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছে ‘অবশেষে পঁচিশে’। অনুষ্ঠানটি বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন ও কলকাতা সংকৃতিক অঙ্গনের যৌথ নিবেদন।
অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। প্রচার শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে। প্রতিদিন দেখা যাবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭টায়।
গান-বাজনা
‘রেওয়াজ’-এর আবাহনে ‘ঋতুরঙ্গ’-এর মাধ্যমে মাতৃবন্দনা
‘ঋতুরঙ্গ’-এর সাজি সাজানো ছিল আগমনী, রবীন্দ্রসংগীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, নজরুলগীতি, হিমাংশু দত্ত এবং সলিল চৌধুরীর গান দিয়ে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ‘তোমায় করি গো নমস্কার’, এই শিরোনামে সম্প্রতি ‘রেওয়াজ’-এর সদস্যরা পঞ্চমীতে পরিবেশন করলেন ‘ঋতুরঙ্গ’। ‘ঋতুরঙ্গ’-এর সাজি সাজানো ছিল আগমনী, রবীন্দ্রসংগীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, নজরুলগীতি, হিমাংশু দত্ত এবং সলিল চৌধুরীর গান দিয়ে। কবিতা ও কথায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাজিয়েছেন সঞ্চালক অঞ্জনা রায় ।
চৈতালি দত্ত ও সঞ্চিতা রায়ের দ্বৈত কণ্ঠে ‘মোর সন্ধ্যায় তুমি সুন্দর বেশে এসেছ’ গানটি দিয়ে সূচনা হয় মাতৃবন্দনা। ঋতুর শুরু গ্রীষ্মকে আহ্বান করা হয় ‘প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন’ গানটি দিয়ে। নিবেদন করেন শোভনা মুখোপাধ্যায়। শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শম্পা ভট্টাচার্য ডাক দেন বর্ষাকে, ‘নাচ ময়ূরী নাচ রে’ গানটি দিয়ে। দুর্গার অকালবোধন শরৎকালে হলেও এ বার তা হেমন্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই শরতের গানে সুর তোলেন চৈতালী দত্ত ও জয়িতা নন্দী মজুমদার – ‘আমার রাত পোহাল শারদপ্রাতে’। এর পরে হেমন্তের গান আসে ‘হিমের রাতে ওই গগনে’, গানটি পরিবেশন করেন ছন্দা মুখোপাধ্যায় ও আলপনা মুখোপাধ্যায়। শীত ঋতু আসে হিমাংশুগীতি দিয়ে। ‘ঝরানো পাতার পথে’ গানটি গান শ্রীময়ী ভৌমিক ও সুপর্ণা মুখার্জি। বসন্তের গানটিতে আসে দ্বিজেন্দ্রকথা ও সুর। ‘আয় রে বসন্ত তোর ও কিরণ-মাখা পাখা তুলে’ – গানটি পরিবেশন করেন সঞ্চালক অঞ্জনা রায় ও সংগীতা সাহা।
দুটি আগমনী গান অনুষ্ঠানের একবারে শেষ পর্যায়ে আসে। ‘রেওয়াজ’-এর শিক্ষিকা নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবেশন করেন নজরুলগীতি ‘এবার নবীন মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন’ ও শিশুশিল্পী অঞ্জিকা সাহা গায় ‘ও আয়রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে’।
নানা রঙে-বর্ণে-গন্ধে-রূপে অনুষ্ঠানটি সাজিয়েছেন ও পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও শিক্ষিকা নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমগ্র সংগীত পরিবেশনা ছিল সাবলীল ও সুমিষ্ট। নানা কবিতার কোলাজে ভাষ্যকার পরিবেশন করেন প্রতিটি গানের পূর্ব মূহূর্ত। গুগল মিটে পরিবেশিত হল অনুষ্ঠানটি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’-এর নিবেদন ‘শারদ অর্ঘ্য – দুর্গা দুর্গতিনাশিনী, পঞ্চমী থেকে দেখা যাবে অনলাইনে
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য1 day ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী