নয়াদিল্লি: এই বছর ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবার প্রদর্শিত হতে চলেছে পারমাণবিক সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ । ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত স্বল্প-পাল্লার কৌশলগত এই ক্ষেপণাস্ত্র আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কর্তব্য পথের এই অনুষ্ঠানে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং।
ডিআরডিও (DRDO) দ্বারা নির্মিত প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম এবং এটি ৫০০-১০০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। এটি একটি সারফেস-টু-সারফেস (ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষিপ্ত) ক্যানিস্টারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ভারতের কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC)-র কাছে মোতায়েন করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। সামরিক পরিভাষায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে শর্ট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল (SRBM) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
কুচকাওয়াজে আরও সামরিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী
প্রলয়ের পাশাপাশি সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র, পিনাকা রকেট লঞ্চার, টি-৯০ ট্যাঙ্ক, নাগ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, আইসিভি বিএমপি-২ (সারথ), নন্দিঘোষ যুদ্ধযান, এবং সঞ্জয় যুদ্ধক্ষেত্র নজরদারি ব্যবস্থা-সহ একাধিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শিত হবে।
কুচকাওয়াজের বিশেষ আকর্ষণ
- সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে কুচকাওয়াজ শুরু হবে এবং এটি ৯০ মিনিট চলবে।
- মোট ৩১টি ট্যাবলো থাকবে। ১৬টি রাজ্যের এবং ১৫টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ট্যাবলো ভারতের ঐতিহ্য ও সাফল্য তুলে ধরবে।
- ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী এবং ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী নেতা বীরসা মুন্ডা-র স্মরণে বিশেষ ট্যাবলোও প্রদর্শিত হবে।
- কুচকাওয়াজে ১৮টি মার্চিং কন্টিনজেন্ট এবং ১৫টি ব্যান্ড দল অংশ নেবে, যেখানে দেশীয় ও পাশ্চাত্য সুরের মিশ্রণ থাকবে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি
এই বছর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ইন্দোনেশিয়ার ১৬০ জনের একটি সামরিক মার্চিং দল, ১৯০ জনের ব্যান্ড দল এবং একটি সাংস্কৃতিক দল এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে।