গত বছর করোনা আবহের মধ্যে একটা বিরল ঘটনা ঘটেছিল। তা হল মহালয়ার ৩৫ দিন পরে দুর্গাপুজো। এ বার অবশ্য আবার স্বাভাবিক ক্যালেন্ডারে ফিরে এসেছে মহালয়া ও দুর্গাপুজো।
পিতৃপক্ষের শেষ দিনে মহালয়া উদযাপিত হয়। অমাবস্যার ভোরে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করে আপামর বাঙালি। পরের দিন প্রতিপদে শুরু হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় হয় দুর্গাপুজোর বোধন। এর অর্থ মহালয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই দুর্গাপুজো শুরু হয়। এ বছরেও এ ব্যাপারে কোনো বিচ্যুতি ঘটছে না।
দেখে নেওয়া যাক এ বছর মহালয়ার দিনক্ষণ। কবে অমাবস্যা তা নিয়ে দু’টি পঞ্জিকা গুপ্তপ্রেস ও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তে কোনো বিরোধ নেই। তবে সময়ের মধ্যে কিছু ফারাক আছে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা
এ বছর বঙ্গাব্দের ১৮ আশ্বিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড গতে শুরু হচ্ছে অমাবস্যা তিথি। তিথি শেষ হবে ১৯ আশ্বিন, বুধবার বিকেল ৫টা ৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে। এই সময়ের মধ্যে মহালয়ার পার্বণ শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করাই বিধেয়। মঙ্গলবার অমাবস্যার নিশিপালন ও বুধবার ব্রতোপবাস। চলবে শ্রীশ্রীশারদীয় দুর্গা দেবীর অমাবস্যা বিহিত পূজা।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা
১৮ আশ্বিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিট গতে শুরু হচ্ছে অমাবস্যা তিথি। তিথি শেষ হবে ১৯ আশ্বিন, বুধবার বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে।
বুধবার ভোরে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করাই বিধেয়। আসলে তর্পণ কী? মহালয়ার দিন পিতামাতা, পূর্বপুরুষ, গুরুদেব, ঋষিদের উদ্দেশে জল ও খাবার দান করার রীতিকেই তর্পণ বলা হয়। লোকমুখে কথিত তর্পণে পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তর্পণকারীর ধন, মান, শান্তি, সম্পত্তি লাভ হয়।