২০২৩ সাল এক কালান্তক বছর শিল্পী সৌভিক কালীর কাছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। করতে হয় অস্ত্রোপচার। অসুস্থতার সময় নিজেকে ভালো করে চিনতে পারেন। নিজের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এ বছর ঢাকুরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় শিল্পীর নিবেদন ‘নির্বাক’। নির্বাক থেকে একাকিত্বের গল্প শোনাতে প্রস্তুত শিল্পী সৌভিক।
নিজের অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে সৌভিক বলেন, “গত বছর ৩ জুলাই আমার জীবনের এক ভয়ংকর দিন। জীবনে প্রথমবার বড়ো রকমের অসুস্থ হই। মুখে হয় অস্ত্রোপচার। কথা বলা বারণ ছিল। এদিকে আমি কথা বলতে খুব ভালোবাসি। তাই আমার ঘরে কেউ ঢুকত না পাছে আমি কথা বলে ফেলি। দিনের অধিকাংশ সময় কাটত জানলার ধারে বসে, কখনও বা বিছানায় শুয়ে, বসে বা চেয়ারে বসে থেকে। কখনও এভাবে যে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলত খেয়ালই থাকত না।”
এভাবেই দীর্ঘ ২০ দিন নির্বাক থেকে একাকিত্বকে অনুভব করেছেন শিল্পী। তাঁর কথায়, “উপলব্ধি করেছি বাহ্যিক কৃতিত্বের কারণে সমাজে আমরা বিভিন্ন রকমের মুখোশ পরে থাকি। একাকিত্ব আসলে একরকমের দর্শন আত্মোপলব্ধির। একাকিত্বের মাধ্যমে আমরা নিজেদের খুঁজে পাই। নিজের সঙ্গে নিজের পরিচয় ঘটে। অসুস্থতার সময় যেমন আমি নিজেকে চিনেছি ভালোভাবে। নিজের সঠিক মূল্যায়ন করতে পেরেছি।”
নিজের ব্যক্তিগত উপলব্ধিকে শিল্পী এবারের পুজোয় থিম হিসাবে প্রকাশ করছেন ঢাকুরিয়া সার্বজনীনে।
কোথায় এই মণ্ডপ
গড়িয়াহাট মোড় থেকে সোজা দক্ষিণে চলুন। গোলপার্ক, পঞ্চাননতলা ছাড়িয়ে ঢাকুরিয়া ব্রিজ পেরিয়ে বাঁদিকে ঢাকুরিয়া স্টেশন রোড ধরুন। ঢাকুরিয়া স্টেশনের পাশ দিয়ে রেলগেট পেরিয়ে একটু এগোলেই ঢাকুরিয়া সার্বজনীনের পূজামণ্ডপ।