কলকাতা
বনেদিবাড়ির পুজোতেও নানা বিধিনিষেধ, সাবর্ণদের আটচালায় এ বার বন্ধ সিঁদুরখেলা কোলাকুলি
এ বার বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের মতো বনেদিবাড়ির পুজোতেও স্বাস্থ্য সচেতনতায় কোনো ফাঁক রাখা হয়নি।

শুভদীপ রায় চৌধুরী
এসে গেল নবমীনিশি। রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। উমার ফিরে যাওয়াকে ঘিরে বাজবে বিষাদের সুর। আবার একটি বছরের অপেক্ষা।
যা-ই হোক করোনাজনিত বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যেই সাঙ্গ হতে চলেছে এ বছরের দুর্গাপূজা। এ বার বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের মতো বনেদিবাড়ির পুজোতেও স্বাস্থ্য সচেতনতায় কোনো ফাঁক রাখা হয়নি। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য কোথাও বসানো হয়েছে স্যানিটাইজারের মেশিন, কোথাও বা বহাল পুলিশি ব্যবস্থাও।
কলকাতার প্রথম পুজো অনুষ্ঠিত হয় সাবর্ণদের আটচালায়। এ বছর তাদের দুর্গোৎসবের ৪১১তম বর্ষ। বলা বাহুল্য, বাংলার প্রথম সপরিবার দুর্গার আরাধনাও শুরু হয়েছিল এই পরিবারের হাত ধরেই। শুরু করেছিলেন রায় লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী ভগবতীদেবী।
এ বছর সাবর্ণদের পুজোয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ রয়েছে। আটচালার পুজোয় এ বার হচ্ছে না সিঁদুরখেলা এবং কোলাকুলি। বড়োবাড়ির পুজো এ বার অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাঁদের সুপ্রাচীন অন্নপূর্ণা মন্দিরে, মেজোবাড়ির পুজোতেও রয়েছে বিশেষ বিধিনিষেধ। সাধারণ দর্শনার্থীদের ঠাকুরদালানে প্রবেশের অধিকার নেই এ বার।

আটচালা বাড়িতে সন্ধ্যায় দেবীর মূল ভোগের সঙ্গে নবদুর্গার ভোগ এবং সাত জন মূল দেবতার ভোগও থাকে। মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপূজার সময়ে তিন কিলো চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয়, সঙ্গে থাকে নানা রকমের ফল, মিষ্টি ইত্যাদি। দশমীর দিন দেবীকে পান্তাভোগ, কচুশাক, নানা রকমের ভাজা, চালতার চাটনি, কইমাছের ঝাল ইত্যাদি নিবেদন করা হয়।
দশমীর দিন সকালে দর্পণে বিসর্জন হবে। তার পর বিকেলে দেবীকে বরণ করবেন বাড়ির বয়ঃজ্যেষ্ঠা সদস্যা। প্রবীণা সদস্যার বরণের পর বাড়ির মহিলারা বরণ করবেন।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বনেদিবাড়ি হল জানবাজারের রানি রাসমণির বাড়ি, যে বাড়ির পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন আর উপভোগ করেন কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস।

এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানালেন, এ বছর তাঁরা সাধারণ দর্শনার্থীদের ঠাকুরদালানে প্রবেশ করার অনুমতি দেননি এবং উঠোন থেকে মাকে দর্শন করতে হচ্ছে। এ জন্য তারা মূল দরজার সামনে স্যানিটাইজারের মেশিন বসিয়েছেন। কোনো দর্শনার্থী মাস্ক না পরে এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঠাকুরদালানে বাড়ির সদস্যরা দশজন করে থাকছেন পুজোর কাজ করার জন্য। রাসমণির বাড়ির পুজোয় ভোগ থাকে লুচি, নানান রকমের ভাজা, তরকারি, মিষ্টান্ন ইত্যাদি। এ বছর প্রাচীন প্রথা মেনে তিন দিনই অনুষ্ঠিত হল কুমারীপুজো এবং সপ্তমীর দিন ১টা, অষ্টমীর দিন ২টো, সন্ধিপূজার সময় ১টি এবং মহানবমীর দিন ৩টি পাঁঠাবলি হয়েছে। এ বছর অনাড়ম্বর ভাবেই বিসর্জন করা হবে দেবীকে এবং সিঁদুরখেলা হবে তবে তা পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলেই জানালেন বিশ্বজিৎবাবু।
ভবানীপুরের নন্দনবাড়ির পুজোয় এ বার সিঁদুরখেলা হলেও সাধারণ মানুষের প্রবেশ এ বছর বন্ধ। পরিবারের সদস্য সৌভিক নন্দন জানালেন, নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হচ্ছে সমস্ত রীতিনীতি। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এ বছর বন্ধ নন্দনবাড়ির দরজা। সমস্ত নিয়মবিধি মেনেই পুজো হয়েছে।

এ বাড়িতে দেবীকে খিচুড়িভোগ, নানা রকমের তরকারি, ভাজা, চাটনি, পায়েস, মিষ্টান্ন ইত্যাদি নিবেদন করা হয়। তবে এই করোনাভাইরাসের কারণে সিঁদুরখেলা হবে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই এবং বিসর্জনের কোনো শোভাযাত্রা থাকছে না এ বারের নন্দনবাড়ির পুজোয়।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
করোনার আবহে নেই ভক্তের ঢল, তবুও শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারের সারদা-দুর্গাপুজোয় রয়েছে একাত্মতা
কলকাতা
মোদীর ব্রিগেডের দিন কলকাতাকে ‘মমতাময়’ করতে ওয়ার্ড-প্রশাসকদের বিশেষ নির্দেশ তৃণমূলের
রাজনৈতিক মহলের মতে এই বৈঠকে ভোটের আগে এ ভাবেই দলীয় কাউন্সিলর ও বিধায়কদের পুরোদমে সক্রিয় করল তৃণমূল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আগামী রবিবার বিজেপির ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ। এই সমাবেশে বক্তা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ওই দিনই কলকাতা শহর হয়ে উঠবে ‘মমতাময়।’ অর্থাৎ, গোটা শহর সেজে থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার, ব্যানারে। থাকবে তৃণমূলের পতাকাও। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড-প্রশাসকদের এই মর্মেই নির্দেশ দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বৈঠকে হাজির ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন উত্তর কলকাতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। ২০২০-তে নির্ধারিত সূচি মেনে কলকাতা পুরসভার ভোট না হওয়ায় ওই কাউন্সিলররা এখন প্রশাসক হয়েছে। যে ওয়ার্ডের ক্ষমতায় তৃণমূল নেই, সেখানকার ব্লক সভাপতিকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ২টো পর্যন্ত চলে বৈঠক। বৈঠক শেষে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলররা হাতে দলের পতাকার বান্ডিল ও ব্যানার নিয়ে বেরোন। জানান, ১০০০ পতাকা দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক প্রাক্তন কাউন্সিলরকে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, কলকাতায় মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের আগে গোটা শহর দলের পতাকা ও ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহলের মতে এই বৈঠকে ভোটের আগে এ ভাবেই দলীয় কাউন্সিলর ও বিধায়কদের পুরোদমে সক্রিয় করল তৃণমূল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
তৃণমূলে যোগ দিলেন সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি-সহ আরও অনেকেই
কলকাতা
কোকেন কাণ্ডে রাকেশ সিংহ ঘনিষ্ঠ আরও একজন গ্রেফতার
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পামেলা গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোকেন কাণ্ডে ধৃত আরও একজন। রবিবার রাতে রাকেশ সিংহ ঘনিষ্ঠ সূরজকুমার শাহকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। কোকেন পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অমৃত সিংকে সে পালাতে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। একটি স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার সূরজকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
মাদক পাচার কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর অভিযোগ, রাকেশ সিং তাঁর ফাঁসাতে চাইছেন। সেই উদ্দেশে রাকেশের নির্দেশে তাঁর গাড়িতে মাদক রেখেছিল অমৃত সিং। এর পর থেকে অমৃতের খোঁজে হন্যে কলকাতা পুলিশ।
রবিবার রাতে ধৃত সূরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাকেশের নির্দেশে সে অমৃত সিংকে পালাতে সাহায্য করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, রাকেশের নির্দেশে পোস্ট অফিসের কাছে স্কুটি নিয়ে অপেক্ষা করছিল সূরজ। সেই স্কুটিতে চেপেই ফেরার হয় হয় অমৃত।
আদি গঙ্গার পাশে অরফ্যানগঞ্জ রোড থেকে স্কুটিটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূরজকে জেরা করলে অমৃতের হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। তা হলেই এই মাদক পাচার মামলার বহু জট খুলে যাবে বলে ধারণা পুলিশের।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পামেলা গোস্বামীকে (Pamela Goswami) গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় কোকেন। আদালতে তোলার সময় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের (Rakesh Singh) বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন তিনি। পরবর্তী কালে গ্রেফতার করা হয় রাকেশকেও।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার, রান্নার গ্যাসের দামে ফের পঁচিশ টাকা বৃদ্ধি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিজেপির ব্রিগেডে যোগ দিতে কলকাতায় ৭ মার্চ আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার আগেই দু’দিনের কলকাতা সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরে রোড শো’র পাশাপাশি জনসভাতেও যোগ দিতে পারেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে, অমিত আসবেন মঙ্গলবার। সে দিন কলকাতা জোনের ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সমাপ্তি কর্মসূচি হবে উত্তর কলকাতায়। সেখানে একটি জনসভা করবেন অমিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা থেকে ওই যাত্রার সূচনা করেন তিনিই।
পরের দিন বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় রোড-শো এবং সমাবেশ করতে পারেন অমিত। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, দক্ষিণে অমিতের সভা হবে হাজরা মোড়ে। তার আগে ভবানীপুরে হবে রোড-শো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে অমিতের রোড শো’র আয়োজন একটা বিশেষ তাৎপর্য এনে দিচ্ছে।
তবে শুক্রবার থেকে রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমিশন জানিয়েছে এ বার রোড শো’র ক্ষেত্রে সর্বাধিক পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।
এ দিকে নবান্ন দখলের লড়াইয়ের জন্য হিন্দুত্বের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ যোগী আদিত্যনাথও আসতে পারেন রাজ্যে। ২ মার্চ মালদার গাজোলে সভা করার কথা তাঁর। অন্যদিকে, ৭ মার্চের ব্রিগেড সমাবেশের পর মোদীকে দিয়ে উত্তরবঙ্গেও সভা করাতে চাইছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর3 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা