ওয়েবডেস্ক: ৯৬ বছরে পা দিল মল্লিকবাড়ির পুজো। ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ি মানে রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিকের বাড়ির পুজো। এখন আর তা মল্লিকবাড়ি বা ভবানীপুরের পুজো হিসাবেই আটকে নেই এখন তা খ্যাতির আর পরিচিতির শিখরে। দুর্গাপুজোর গল্প মানেই সেখানে একবার হলেও মল্লিকবাড়ির নাম উঠে আসবেই।
সেখানে পুজোর ক’টা দিন বাবা-মেয়ে কোনো জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী নন। এক্কেবারে বাড়ির ঘরোয়া মানুষ। পুজোর সমস্ত কিছুতে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকেন তাঁরা। তা সে পুজোর জোগাড় হোক বা কাঁসর বাজানো, সকলের কাছে প্রদীপ নিয়ে যাওয়া বা সিঁদুর খেলা, সবেতেই মেতে থাকেন তাঁরা।
প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর পর থেকেই দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। মল্লিকবাড়িতে একচালা ও ডাকের সাজের প্রতিমার পুজো হয়।
মল্লিক পরিবার বৈষ্ণবীয় মতে দীক্ষিত। তাই কোনো প্রাণী বলির প্রথা কোনো দিনই এই পুজোয় ছিল না, আজও নেই। তাই পুজোর ক’দিন বাড়ির প্রত্যেক সদস্য নিরামিষ খাবার খান। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের পরেই আমিষ খাওয়া শুরু হয়।
পুজোর দিনগুলিতে আত্মীয়পরিজন, বন্ধুবান্ধব ছাড়াও বাড়িতে ভিড় হয় বহু অনুরাগী ও চেনা মানুষেরও।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।